ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ড সমূহে ডিএনসিসির বিশেষ মশক নিধন ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করি, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া মুক্ত থাকি।” এই স্লোগানকে সামনে রেখে এডিস মশা নিধনে ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ড সমূহে ডিএনসিসির বিশেষ মশক নিধন ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টায় রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ১২ নং ওয়ার্ডে এই বিশেষ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মোমিনুর রহমান মামুন। উল্লেখ্য ডিএনসিসি এডিস মশার উপদ্রপ হ্রাসকল্পে বছরব্যপী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে যা জানুয়ারি মাস থেকেই চলমান। তবে সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের বেশ কিছু ওয়ার্ডকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে যার ডিএনসিসির ৫ টি ওয়ার্ড পরেছে। সেগুলো হলো ওয়ার্ড নং ১, ১২, ১৬, ২০ এবং ৩১। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রিপোর্টের আলোকে ডিএনসিসি স্বাস্থ্য বিভাগ সকল ওয়ার্ডে চলমান নিয়মিত কার্যক্রমের সাথে এই ৫ টি অঞ্চলে বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সকালে ১২ নং ওয়ার্ডের পাইকপাড়া সরকারি এ-টাইপ কলোনীর মাঠে উদ্বোধনকালে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, আপনাদের সকলের সহযোগিতাই পারে নগরবাসীকে এডিস মশা থেকে মুক্তি দিতে। জনসাধারনকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি উদ্বুদ্ধ করে তিনি বলেন আপনারা নিজ নিজ বাসা-বাড়ী, ভবন এবং এলাকা নিজেরা পরিস্কার করুন, প্রয়োজনে আমাদের গাড়ী এসে সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে, কিন্তু যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না, কোথাও পানি জমে থাকতে দিবেন না। ডাবের খোসা, চিনের কৌটা, পরিত্যক্ত পেট বোতল, প্লাস্টিকের পট, হাড়ি, ভাঙা বা পরিত্যক্ত ফুলের টব যেখানে সেখানে রাখবেন না।
এসময়ে এসকল কলোনী ও সরকারি অফিস প্রাঙ্গন পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে সরকারি স্থাপনার রক্ষনাবেক্ষনে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের সহায়তা চাওয়া হয়। একইসাথে অত্র ভবনসমূহের বাসিন্দা ও কর্মচারীদেরকে সপ্তাহে অন্তত একদিন সেচ্ছায় নিজ স্বার্থে, নিজের পরিবারের স্বার্থে, নিজেদের এলাকায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার মাধ্যমে মশক মুক্ত ঢাকা গড়ার আহ্বান জানান প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তিনি এই বছরের গুরুত্ব বিবেচনায় বলেন, আপনারা সবাই জানেন এই বছর টি বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, মুজিব বর্ষের বছরব্যপী সকল অনুষ্ঠান ও কার্যক্রম যাতে নির্বিঘ্নে এই জাতি পালন করতে পারে, মশা ও অন্যান্য বৈশ্বিক রোগ জীবানু এবং ভাইরাস থেকে নিজেদেরকে নিরাপদ রাখার অন্যতম হাতিয়ার হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। তাই আসুন সকলে মিলে এই শহরকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য করে তুলি, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সবসময় আপনাদের পাশে আছে, দরকার শুধু আপনাদের একটু সহযোগিতা।