এখন সময় ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বার ২০২৪ , ০৩:৫০ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

তানজির রেজা চৌধুরী’র দাফন সম্পন্ন

নিউইয়র্কের বিশিষ্ট লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাহমুদ রেজা চৌধুরী এবং সাবেক ব্যাংকার সুরাইয়া খানমের একমাত্র ছেলে তানজির রেজা চৌধুরী (৩৯) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। গত ১৫ নভেম্বর শুক্রবার সকালে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড নর্থশোর হাসপাতালের তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

প্রয়াত তানজির রেজা চৌধুরীর নামাজে জানাযা গত ১৬ নভেম্বর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে (জেএমসি) অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে তার মরদেহ লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল পার্ক মুসলিম কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী অ্যটর্নী সুরাইয়া রহমান এবং মা-বাবাসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন রেখে যান।

তানজির রেজা চৌধুরীর নামাজে জানাযায় সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশি অংশ নেন। এছাড়াও বিপুলসংখ্যক বিদেশিও সমবেদনা জানাতে জেএমসিতে উপস্থিত হন। জেএমসিতে তার মরদেহ আনার পর শেষবারের মতো তাকে দেখার সময় তার মা-বা সহ অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় বাবা মাহমুদ রেজা চৌধুরী পুত্রের কফিনের পাশে দাঁড়িয়ে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করেন। এরপর জানাযা নামাজের পূর্বে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে সং¶িপ্ত বক্তব্য রাখেন এবং একমাত্র পুত্রের জন্য দোয়া কামনা করেন। এরপর জেএমসি’র ইমাম ও খতিব মির্জা মওলানা আবু জাফর বেগ সং¶িপ্ত বক্তব্য দেন।


জানা গেছে, কয়েক সপ্তাহ আগে তানজির সস্ত্রীক থাইল্যান্ড বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে অসুস্থবোধ করলে দ্রুত নিউইয়র্ক ফিরে আসেন। পরবর্তীতে তানজির চিকিৎসকদের শরণাপণ্ণ হন এবং শরীর খারাপ বোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শে লং আইল্যান্ডের নর্থশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার হার্টে একটি ৯০% এবং অন্যটি ১০০% ব্লক ধরা পড়লে তাৎ¶ণিকভাবে রিং পড়ানো হয়। এরপর হাসপাতালে সপ্তাহখানেক থাকার পর চিকিৎসকরা তাকে বাসায় বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়ে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দেয়। গত ১৫ নভেম্বর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুত্রবধু অ্যাটর্নি সুরাইয়া রহমান জরুরি ফোন কলে জানান যে তানজিরের অবস্থা খারাপ এবং তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কমিউনিটির পরিচিত মুখ, বিশিষ্ট লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাহমুদ রেজা চৌধুরীর একমাত্র ছেলের অকাল মৃত্যুতে নিউইয়র্কের বিভিন্ন বাংলা মিডিয়ার সম্পাদক, সাংবাদিক, কবি-লেখক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।