প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০২৪ , ০৪:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের চর দক্ষিণগুজিমারির বসতবাড়ি। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়েই এই চরে চরে বাস করছেন অনেকে। ছবিটি আজ শুক্রবার বিকেলে তোলা। ছবি : রোকোনুজ্জামান মানু
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আজ শুক্রবার জানিয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি সার্বিকভাবে কমছে যা আগামীকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় এ অঞ্চলের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
তবে উত্তর, উত্তর-মধ্য ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আগামীকাল সকাল পর্যন্ত কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার ব্রহ্মপুত্র-যমুনা সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।
উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ঘাঘট নদ-নদীর পানি সময়বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে। এতে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানি কিছু পয়েন্টে স্বল্প সময়ের জন্য বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এ সময় ঘাঘট নদ সংলগ্ন গাইবান্ধা জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
এ ছাড়া আগামী রবিবার সকাল পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যমুনাশ্বরী, করতোয়া, বাঙ্গালী, আপার করতোয়া, পুনর্ভবা, টাঙ্গন, ইছামতি-যমুনা, আত্রাই, মহানন্দা এবং ছোট যমুনা নদ-নদীর পানি সময়বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে পাউবো।
পাউবোর তথ্যানুযায়ী, আজ শুক্রবার দেশের মোট ১০ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ছিল। এগুলো হল, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোণা, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান শুক্রবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। আগামী দুইদিন ঝুঁকি বেশি থাকবে মূলত উত্তরের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও উত্তর-পশ্চিমের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে।
এসব অঞ্চলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।’