এখন সময় ডেস্ক :

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২৫ , ১১:৩৮ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

দরিদ্র দেশগুলোতে টিকা তহবিল বন্ধের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প | ছবি - সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ টিকা সহায়তাকারী বৈশ্বিক সংস্থা গ্যাভি’র আর্থিক সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থাটি উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিকা ক্রয়ে সহায়তা করে এসেছে এবং গত ২৫ বছরে কয়েক লাখ প্রাণ বাঁচিয়েছে। এছাড়াও প্রশাসন বিশ্বব্যাপী অন্যতম বড় প্রাণঘাতী রোগ ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বরাদ্দ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর পরিকল্পনা করছে।

বুধবার (২৬ মার্চ) মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে ট্রাম্প প্রশাসন এইচআইভি ও যক্ষ্মা চিকিৎসার ওষুধের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুদান এবং গৃহযুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি দেশগুলোতে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইড কংগ্রেসে ২৮১ পৃষ্ঠার একটি নথিতে এই সিদ্ধান্তগুলো পাঠিয়েছে। এতে যেসব বিদেশী সহায়তা প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার ও বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে তার তালিকা রয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস এই নথির একটি অনুলিপি ও অন্যান্য সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করেছে।

নথিগুলোতে বলা হয়েছে, উন্নয়নশীল বিশ্বের কাছে যুক্তরাষ্ট্র গত এক দশক ধরে যেভাবে নিজেকে সহানুভূতিশীল মিত্র হিসেবে গড়ে তুলেছে, তারা সে পথ থেকে সম্পূর্ণ সরে এসেছে। দেশটি গত ৫০ বছরে অনেক সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে।

নথিতে বলা হয়েছে, এই কাটছাঁটের ফলে ইউএসএইড কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়বে। সংস্থার অধিকাংশ তহবিল বাতিল করা হয়েছে এবং ছয় হাজারের বেশি কর্মীর মধ্যে মাত্র ৮৬৯ জন সক্রিয় দায়িত্বে রয়েছেন।

ট্রাম্প প্রশাসন ইউএসএইডের ৮৯৮টি প্রকল্প চালু রাখার এবং বাকি পাঁচ হাজার ৩৪১টি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাকি কর্মসূচির মূল্য ৭৮ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৮.৩ বিলিয়ন ডলার এখনো ব্যয়যোগ্য অর্থ হিসেবে অবশিষ্ট রয়েছে।

ইউএসএইডের অবশিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, তালিকার বরখাস্তগুলো সঠিক ছিল। তিনি বলেছেন, ‘প্রত্যেকটি প্রকল্প প্রশাসনের অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা পৃথকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং যেসব প্রকল্পকে জাতীয় স্বার্থ বা সংস্থার নীতির পরিপন্থি বলে মনে করা হয়েছে সেগুলো পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওর অনুমোদনে বাতিল করা হয়েছে।’

বন্ধ করা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তহবিল। এটি ৪৯টি দেশে পশু থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত রোগ, যেমন বার্ড ফ্লু পর্যবেক্ষণ করে। এছাড়াও বিশ্বের শিশুদের অন্যতম প্রধান প্রাণঘাতী রোগ ম্যালেরিয়া শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধমূলক কিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিও বাতিল করা হয়েছে।