প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২৫ , ০৬:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হলো, সেটি নিয়মিত হওয়ার কথা থাকলেও এবার অনুষ্ঠিত হলো প্রায় ১৫ বছর পর ।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। এছাড়া তিনি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার সাথে আলাদা বৈঠক করেন।
নতুন পথচলার প্রথম আনুষ্ঠানিক আলাপে দুই দেশের 'অমীমাংসিত ঐতিহাসিক বিষয়' যেমন আলোচিত হয়েছে, তেমনি সম্পর্ক জোরদারের প্রসঙ্গও এসেছে।
স্বাধীনতাপূর্ব ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছে চার দশমিক তিন দুই বিলিয়ন বা ৪৩২ কোটি ডলার চেয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন।
আমনা বালুচের সাথে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
এদিকে, স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের তথ্য বলছে, চলতি মাসের চার তারিখে পাকিস্তানের রিজার্ভ ছিল ১৫ দশমিক সাত পাঁচ বিলিয়ন বা ১৫৭৫ কোটি ডলার।
অর্থাৎ, বাংলাদেশের দাবি মেটাতে হলে পাকিস্তানকে তাদের রিজার্ভের এক চতুর্থাংশের বেশি ব্যয় করতে হবে।
এছাড়া, এফওসিতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের নৃশংসতার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ও তুলেছে ঢাকা।
যদিও পাকিস্তানের তরফে এসব ব্যাপারে গণমাধ্যমে কিছু জানানো হয়নি।
দেড় দশকে প্রথম এই ফরেন অফিস কনসালটেশন বা এফওসি বৈঠকের দিকে চোখ ছিলো অনেকের।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক কখনোই সরলরেখায় চলেনি। তবে, আওয়ামী লীগের গত তিন মেয়াদে একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল।
গত পাঁচই অগাস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা দৃশ্যমান হতে থাকে।
তারই ধারাবাহিকতায় ১৬ই এপ্রিল বুধবার ঢাকায় আসেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ।