কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন লোকসভা সাংসদ রাহুল গান্ধী শনিবার তার সরকারি বাসভবনটি ছেড়ে দিয়েছেন। লোকসভার সদস্য পদ খারিজ হওয়ার পর ১ মাসের মধ্যে সরকারি বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাকে। গতকাল শনিবার দিল্লির ১২, তুঘলক লেনের বাংলোটি ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। যেখানে তিনি ১৯ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন। মোদী পদবি মন্তব্য মামলায় গত ২৩ মার্চ রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের জেলের সাজা শোনায় সুরাটের আদালত। এরপরই তার সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। যার জেরে বাংলো খালি করতে বলে নোটিশ পাঠিয়েছিল লোকসভার হাউজিং কমিটি।

প্রায় চার বছর আগে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণার সময় ‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন রাহুল বলে অভিযোগ ওঠে। রাহুলের ওই মন্তব্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ‘মোদি’ পদবিধারী অন্যান্যদের জন্য অপমানজনক বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। মানহানির মামলায় শাস্তি হওয়ায় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে লোকসভার সদস্যপদ হারান রাহুল।

রাহুল গান্ধী বলেন, ‘হিন্দুস্তানের মানুষ ১৯ বছর ধরে আমাকে এই বাড়ি দিয়েছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটা সত্য কথা বলার মূল্য। সত্য কথা বলার জন্য আমি যেকোনো মূল্য দিতে প্রস্তুত। মূল্য যাই হোক না কেন, আমি তা পরিশোধ করব।’

বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার পরে রহুল জানান, আপাতত মা সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেই থাকবেন। চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তির দিন বাংলো থেকে নিজের জিনিসপত্র সরিয়ে নেন রাহুল গান্ধী। ওই দিনই সমস্ত জিনিস মার বাংলোতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।শনিবার সকালে ১২ তুঘলক লেনের বাংলোতে যান রাহুল গান্ধী। তার সঙ্গে ছিলেন মা সোনিয়া ও বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তবে এদিন সরকারি ছুটি থাকায় বাংলোর চাবি লোকসভার হাউজিং কমিটির সদস্যদের হাতে তুলে দিতে পারেননি তিনি।

রাকিব/এখন সময়