প্রথম দুই ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুইটিতে হারায় তৃতীয় ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য তাই ছিল তাই হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। এমন ম্যাচে অধিনায়ক লিটন দাসের ফিফটিতে আফগানদের ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিল টাইগারা। ১২৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশ জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ১৫৯ বল হাতে রেখেই।

অবশ্য ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রাথমিকভাবে ভালো ধাক্কাই খেয়েছিল বাংলাদেশ। ফজলহক ফারকীর বলে দলীয় ২ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মোহাম্মদ নাঈম। ২৮ রানের মাথায় সেই ফারুকীর বলেই বোল্ড হন নাজমুল হোসেন শান্ত (১১)।

২৮ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে পথ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন ওপেনার লিটন দাস এবং চারে নামা সাকিব আল হাসান। দুজনে মিলে গড়েন ৬১ রানের জুটি। ৮৯ রানের মাথায় ৩৯ বলে ৩৯ করা সাকিব ফিরলেও বিপদে পড়েনি বাংলাদেশ। জয়ের জন্য বাকি পথটুকু তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যেই পাড়ি দেন লিটন। শেষ পর্যন্ত তিনি ৬০ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। আর ১৯ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়।

এর আগে তৃতীয় ম্যাচে দলে ঢোকা তিন বোলার শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলামের তোপে পড়ে ১২৬ রানেই অলআউট হয় আফগানিস্তান। চট্টগ্রামে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন বাঁহাতি পেসার শরীফুল। দ্বিতীয় বলে ইব্রাহিম জাদরানকে ফেরানোর পর রহমত শাহকেও আউট করেন। দুজনেই উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের কাছে ক্যাচ দেন। এরপর আরেক ওপেনার রহমতউল্লাহ গুরবাজকে ব্যক্তিগত ৬ রানে ফেরান তাসকিন আহমেদ। আর অভিজ্ঞ ব্যাটার মোহাম্মদ নবীকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান শরীফুল। ১৫ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়া আফগানিস্তানকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। তবে ৩২ রানের মাথায় সাকিব আল হাসানের বলে আউট হয়ে দলের বিপদ বাড়ান নাজিবুল্লাহ।

এরপর আজমাতুল্লাহ ওমারজাইকে সঙ্গে নিয়ে ধ্বংসস্তুপ থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক শাহিদি। তবে দলীয় ৫৩ রানের মাথায় এই ম্যাচেই দলে ফেরা তাইজুলের বলে বোল্ড হন আফগান অধিনায়ক। ৬৮ রানের মাথায় ফের শরীফুলের আঘাত। আবদুল রহমানকে বানান নিজের চতুর্থ শিকার।

দলের সবাই আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে পড়ে থাকেন সাত নম্বরে নামা ওমারজাই। নয় নম্বরে নামা জিয়া-উর-রহমানকে নিয়ে ২১ রানের জুটি গড়েন। ৮৯ রানে ফেরেন ৩০ বলে ৫ রান করা জিয়া। এরপর মুজিব-উর-রহমানকে নিয়ে দলকে একশ পার করেন ওমারজাই। নবম উইকেটে গড়েন ৩৬ রানের জুটি। ১২৫ রানের মাথায় ১১ রান করা মুজিবকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। আর ১ রান যোগ হতেই ওমারজাইকে ফেরান তাসকিন। শেষ হয় ৭১ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় তার ধ্রুপদী ইনিংস। তাতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৭ রানের।