দেয়ালে পিঠই ঠেকে গিয়েছিল সৌম্য সরকারের। ফর্মে ছিলেন না, বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে।

তাতে বেড়েছে হতাশা, সমালোচনা। কঠিন ওই পথ পাড়ি দিয়ে দুর্দান্ত এক ইনিংসে ফিরে আসার বার্তা দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে শূন্য রানে ফিরেছিলেন। পরেরটিতে দলের সবার ব্যর্থতার দিনে ১৫১ বলে খেলেছেন ১৬৯ রানের ইনিংস। তৃতীয় ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে রিটায়ার্ড হার্ট হন, তবে বল হাতে নেন তিন উইকেট। তার ফেরায় খুশি হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

এখন হাথুরু আশাবাদী সৌম্য ভালো করবেন টি-টোয়েন্টিতেও। তিনি বলেন, ‘সে (সৌম্য) যেভাবে পারফর্ম করেছে তাতে আমি খুশি। আমি জানতাম সে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার মতো ইনিংস খেলার সামর্থ্য রাখে। আমি যখন এখানে ছিলাম তখন সে এটা করে দেখিয়েছে। আমরা সবাই বলি ক্লাস ইজ পারমানেন্ট, ফর্ম অনেক কিছুর কারণেই প্রভাবিত হয়। বিশেষ করে আপনার মাথায় কী চলছে। ’

‘আপনার মাথা যদি পরিষ্কার থাকে, আপনি যদি আপনার ভূমিকা বুঝতে পারেন, পরিবেশের সঙ্গে কমফোর্টেবল থাকলে প্রত্যেক খেলোয়াড়ই তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারে। তার মাথাটা একেবারে পরিষ্কার, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সে পারফর্ম করতে না পারার মতো কোনো কারণ নেই। ’

সৌম্যর ফেরার প্রক্রিয়ায় তাকে সমর্থন দেওয়ার কথা শোনা যায় হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের। এ নিয়ে সমালোচনাও সহ্য করতে হয়েছে তাকে। তবে এখন সৌম্যর ফেরার বার্তায় কোনো কৃতিত্ব নিতে চাননি তিনি। প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সৌম্যর মানসিক শক্তিকে।

‘আমি নই, ও নিজেই নিজেকে ফিরিয়েছে। দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে এটা সৌম্যর জন্য ছিল ডু অর ডাই সিচুয়েশন। এটা প্রমাণ করে সে মানসিকভাবে কতটা শক্তিশালী। সে জানতো পুরো দেশ তার বিপক্ষে ছিল। সে যদি ব্যর্থ হতো তাহলে কী হতো সেটা আমরা জানি না। আমরা যে কাজটা ভালো করেছি সেটা হলো আমরা তাকে বিশ্বাস করেছি, তাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছি এবং পুরো দল তাকে সমর্থন দিয়েছে। তাতে মনে হয় সে ফর্ম ফিরে পেয়েছে। ’