সাবেক নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে আগামী ৪ অক্টোবর দিন ঠিক করা হয়েছে। এদিন দেশের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গেও আলোচনা করবে ইসি।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘ওইদিন নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। ’
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান লিখিত আকারে বলেন, অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগ জনগণের সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ মৌলিক মানবাধিকার, দীর্ঘ সময় ধরে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় অনিয়ম ও কারচুপির বিভিন্ন মহলের অভিযোগসহ কালো টাকা ও পেশি শক্তির কারণে অবাধ ভোটাধিকার হরণ বা ব্যাহত হয় বলে অধিকাংশদের ধারণা।

এটা কখনো প্রত্যাশিত হতে পারে না। এমন বিরূপ বাস্তবতাকে প্রতিহত করতে প্রার্থী তার স্বার্থে ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি বুথের জন্য একজন করে দক্ষ ও বিশ্বস্ত পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করে থাকেন।

তিনি বলেন, এমন বাস্তবতার আলোকে “অবাধ ভোটাধিকার প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টের ভূমিকা” বিষয়ে একটা কর্মশালা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এ কর্মশালায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, সাবেক জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা অংশ নেবেন।

বৈঠকের আলোচ্য বিষয় হিসেবে থাকবে-
নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপি রোধে প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্টের ভূমিকা কি হতে পারে? পোলিং এজেন্ট তার প্রার্থীর পক্ষে আইন ও বিধি অনুযায়ী কীভাবে দায়িত্ব পালন করে পোলিংকে স্বচ্ছতার রূপ দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে পারে? নির্বাচনের ফলাফলে জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটিয়ে কীভাবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করিয়ে আনতে পারেন? ও প্রার্থী কি ধরনের পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করবেন এবং কীভাবে তাকে দায়বদ্ধ করবেন?

আহসান হাবিব খান আরও বলেন, এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আলোচনার মাধ্যমে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতকরণে প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টের ভূমিকাকে স্পষ্ট করা এবং সর্বসাধারণ, বিশেষত: সম্মানিত ভোটার সাধারণ, রাজনীতিবিদ ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের গণমাধ্যমের বদান্যতায় তা অবহিত করা।

এর আগেও বিভিন্ন মহলের সঙ্গে বৈঠক করে কয়েক দফায় নানা পরামর্শ শুনেছে নির্বাচন কমিশন।