পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে একটি বিদেশী শক্তিকে তহবিল যোগান দেয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। গতকাল (রোববার) রাজধানী ইসলামাবাদে এক সমাবেশে দেয়া বক্তৃতায় একথা বলেন ইমরান খান।

বিশাল সমাবেশে ইমরান খান বলেন, জাতীয় সংসদে তার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য বিরোধীদলগুলোকে বিদেশি শক্তি কোটি কোটি ডলার দিয়েছে। সরকার উৎখাতের জন্য বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ইমরান খান ২০২৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে গণতান্ত্রিকভাবে সরকার গঠন করেন।

এরইমধ্যে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে এবং কয়েক দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদে এ বিষয়ের ওপর বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। তারপর প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে চূড়ান্তভাবে ভোটাভুটি হবে। ইমরান খানকে সরাতে হলে বিরোধীদলগুলোকে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইমরান খান রাশিয়া সফর করেন এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, “আমাদেরকে লিখিতভাবে হুমকি দেয়া হয় কিন্তু আমরা আপোস করব না।” এছাড়া, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুরোধ উপেক্ষা করে ইমরান খান চীন সফর করেন এবং বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

ইমরান খান তার সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশি ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে আরো বলেন, “বিদেশ থেকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে। কয়েক মাস ধরেই আমরা এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন। বিরোধীদলগুলোকে কারা মাঠে নামিয়েছে আমরা তা জানি। কিন্তু মনে রাখতে হবে সময় বদলে গেছে, এটি জুলফিকার আলী ভূট্টোর সময় নয়।”

ভূট্টোকে পরমাণু কর্মসূচির জন্য হুমকি দেয়া হয়েছিল এবং পরবর্তীতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতাচূত করা হয় । ১৯৭৯ তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।#

পার্সটুডে