ব্যস্ততার কারণে অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর সুযোগ পান না। ঘুমের অভাবে বিশ্রাম পায় না চোখও। অথচ চোখের উপরেই যাবতীয় চাপ। অফিসে সারা ক্ষণ কম্পিউটারের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকা, মোবাইলের অত্যধিক ব্যবহার— সব ক্ষেত্রেই চাপ পড়ছে চোখের উপর। দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে চোখের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। চক্ষু চিকিৎসকরা বলছেন, সঠিক পরিমাণে ঘুম চোখের যত্ন নেওয়ার অন্যতম উপায়। কম ঘুম চোখের নীচে কালি, ফোলা ভাব, চোখ লাল হয়ে যাওয়া এমনকি ‘ড্রাই আইজ’-এর মতো সমস্যাও দেখা দেয়।
চোখ শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অংশ। বয়সকালেও চশমা পরতে না চাইলে রোজের জীবনে আনতে হবে কয়েকটি পরিবর্তন।
১) পর্যাপ্ত যত্নের অভাব ছা়ড়াও খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, চোখের স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকরা বলছেন, ভিটামিন এ, সি, ই, জিঙ্ক, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড-সমৃদ্ধ খাবার চোখের জন্য সবচেয়ে উপকারী। রোজের খাবার থেকেই যদি এই পুষ্টিগুণ পান, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সামুদ্রিক মাছ, শাকসব্জি, মরসুমি ফলের মতো খাবার রোজ খান। ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার রোজের পাতে রাখতে চেষ্টা করুন। ক্যারোটিনয়েড চোখের রেটিনার জন্য বিশেষ উপকারী। এই উপাদান আছে এমন খাবার বেশি করে খান।
২) ওজন কমানো ছাড়াও চোখের যত্ন নেয় নিয়মিত শরীরচর্চা অভ্যাস। শারীরিক কসরত শুধু মেদই ঝরায় না, চোখের দৃষ্টিশক্তিও উন্নত করে। কার্ডিয়ো, ওয়েট ট্রেনিং-এর মতো কিছু কসরত চোখের প্রতিটি পেশি এবং কোষ সচল রাখে। মাঝেমাঝে অনেকেরই চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। রোজ ব্যায়াম করলে এমন হবে না। অনেক ক্ষণ এক দৃষ্টে মোবাইল বা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর চোখের বিশ্রাম নিন। চোখ বন্ধ করে থাকতে পারেন। চোখের বেশ কিছু ব্যায়াম হয়। সেগুলি জেনে নিয়ে করতে পারেন। উপকার পাবেন।
৩) দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল ডায়াবিটিস। সমীক্ষা বলছে, ডায়াবিটিক রোগীদের মধ্যে চোখের সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে রেটিনোপ্যাথি, ম্যাকুলার এডিমা, গ্লুকোমা এমনকি ছানির মতো সমস্যাও দেখা দেয়। তাই ডায়াবিটিক রোগীদের তো বটেই, যাঁদের ডায়াবিটিস নেই চোখ ভাল রাখতে সতর্ক হোন এখন থেকেই।