নঈম নিজাম

সেমিনারে পরিচয় হয় কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইকেল এস স্ট্যাকলারের সঙ্গে। তিনি বক্তৃতা করার সময় বাংলাদেশের এগিয়ে চলার প্রশংসা করছিলেন বারবার।

বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে আয়োজিত সেমিনার শেষে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। তাঁকে প্রশ্ন করেছিলাম তুমি বাংলাদেশ নিয়ে এত জানো কীভাবে? তিনি বললেন, বছরখানেক আগে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তাঁর গবেষণার একটি বিষয় বাংলাদেশ কীভাবে এত দ্রুত বিশাল সাফল্য অর্জন করল। তিনি বাংলাদেশের এ সাফল্য তাঁর ছাত্রছাত্রীদের কাছে তুলে ধরেন। সেমিনারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বক্তৃতা প্রচার করা হয়। ছাত্রছাত্রীরা তা মন দিয়ে শোনেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. আতিউর রহমান। বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ও মেইনস্ট্রিম রাজনীতিবিদরা। সেমিনার শেষে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীরা বিস্ময় প্রকাশ করলেন বাংলাদেশের পরমাণু যুগে প্রবেশ নিয়ে। তারা বললেন, বাংলাদেশে এত কাজ হয়েছে? এই এগিয়ে চলা আমাদের গর্বিত করছে।
উপমহাদেশের প্রবীণ সাংবাদিক-রাজনীতিবিদ এম জে আকবর পরপর দুবার ঢাকা এসেছিলেন। তাঁকে পদ্মা সেতু দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু অতিক্রম করে ভাঙ্গা পর্যন্ত গিয়ে ফিরে এসেছিলাম। আমাদের সঙ্গে ছিলেন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি তখন ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান ছিলেন। এম জে আকবরের মতো বিশাল মাপের একজন মানুষ পদ্মা সেতু দেখতে যাবেন শুনে তিনিও আমাদের সঙ্গে শরিক হন। ঢাকা থেকে ফ্লাইওভারে ওঠার পর থেকে আকবর চারদিকে তাকিয়ে বিস্ময় জানালেন। প্রশংসা করলেন। তারপর বললেন, বাংলাদেশ খুব দ্রুত এগিয়েছে। ভূরাজনীতিগত অবস্থান ও উন্নয়নের কারণে চোখে পড়েছে বিশ্বের। দিল্লি ফেরার পথে বিমানবন্দর যেতে তিনি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চড়লেন। তারপর নামলেন। এত অল্প সময়ে বিমানবন্দর যেতে পেরে ভারতীয় এই বিখ্যাত লেখক বাংলাদেশ নিয়ে লেখেন। ইংরেজিতে লেখা কলামটি প্রকাশ হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বাংলায় অনুবাদ বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশ করলাম আমরা। তিনি বিজয় সরণি থেকে ৯ মিনিটে বিমানবন্দরে প্রবেশের অভিজ্ঞতার কথা লেখেন এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন চমকের জন্য প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

এম জে আকবরের মতো সাংবাদিকের চোখে বাংলাদেশের এগিয়ে চলার প্রশংসা থাকলেও এখন অনেকেই তা মানতে পারছেন না। দেশবিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে এখন অনেক আলোচনা হচ্ছে। নানা অসিলা দেখিয়ে ভিতরে ভিতরে চলছে বিভিন্নমুখী ষড়যন্ত্র। অনেকেই আজকাল দেখা হলে প্রশ্ন করছেন- দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রাসাদ ষড়যন্ত্র কি ক্ষতি করতে পারবে আওয়ামী লীগের? শেখ হাসিনা কি সামাল দিতে পারবেন সবকিছু? নির্বাচনকালীন সরকার কি হবে? কারা বসবে নির্বাচনের সময়? সংবিধান ও বাস্তবতা ধরে রাখতে সরকার কী করবে? আবার অনেকের মনে প্রশ্ন- চাপের কাছে শেখ হাসিনা নতি স্বীকার করবেন কি? কোনো প্রশ্নই উড়িয়ে দিই না। শুনি সবকিছু। অনেক কারণেই মানুষের মনে প্রশ্ন আসতে পারে। তার পরও অনেক সময় স্থূলভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সেদিন এক বন্ধু বললেন, আজকাল সামাজিক মাধ্যম দেখলে মনে হয় দেশে সরকার বলে কিছু নেই। কারও কারও কথায় মনে হয়, ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ নয়, অন্য কেউ অবস্থান করছে। গুজব এখন গজবে পরিণত হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে- অক্টোবরে অনেক কিছু ঘটবে। সব হয়ে যাবে তছনছ। এ নিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি যা বলছে, সামাজিক মাধ্যম বলছে হাজার গুণ বেশি। কেউ বলছে না, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ শেষ হলো ঝামেলা ছাড়া। ২১ দিন পর আরেকটি মাস শুরু হবে। তখন হয়তো গুজব সৃষ্টিকারীরা প্রকাশ করবে নতুন তত্ত্ব। আগামী নির্বাচনের জন্য আগামী এক মাস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশন ভোটের তফসিল ঘোষণা করবে নভেম্বরে। তার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঐতিহ্য অনুযায়ী সার্বিক পরিস্থিতিতে কিছুটা উত্তাপ থাকবে। বিএনপি চেষ্টা করবে তার সব শক্তি প্রদর্শনের। অন্যদিকে সরকারি দলও বসে থাকবে না। সরকারি দল তার গোছানো মাঠ দখলে রাখার চেষ্টা করবে। এ পরিবেশেই আসবে তফসিল। ভোটমুখী জনতা বসে থাকবে না। তারা চলে যাবে মাঠে-ময়দানে। ভোটের কোনো বিকল্প নেই। আর বাংলাদেশের গণতন্ত্র ওয়েস্টমিনস্টার ধাঁচের। সংসদীয় পদ্ধতিতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া এখানে শুধু ভোটের মাধ্যমে হয়। অন্য কোনোভাবে নয়। রাজনীতি করবেন রাজনীতিবিদরা। যদিও বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বারবার হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের ক্ষমতায়নের একটা যুগ ছিল। সেই যুগের অবসান হয়েছে। মানুষ কোনো অবৈধ দখলদারকে দেখতে চায় না। অস্থিতিশীলতা কারও কাম্য নয়। ইতিবাচক রাজনৈতিক ধারা, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চায় সবাই। এ চাওয়া কোনো বিদেশি দেশের কেন হবে? বাংলাদেশের সব দলের আস্থা অবশ্যই জনগণের ওপর থাকতে হবে।

বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নাম। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন। তারপর এ পর্যন্ত দলটি চারবার ক্ষমতা পেয়েছে। ১৯৯৬ এবং ২০০৮ সালের ভোট ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সেই ভোটে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আর সংসদে বিরোধী দল হিসেবে ছিল বিএনপি। ২০১৪ সালে বিএনপি ভোটে যায়নি। সংবিধানের ধারাবাহিকতার জন্য আওয়ামী লীগকে ভোট করতে হয়েছিল। আর ২০১৮ সালে আগুনসন্ত্রাসের মামলা-মোকদ্দমায় বিএনপি কাবু ছিল। বিপরীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছিল চাঙা। সেই ভোটে প্রশাসনিক কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা না ঘটলে বিএনপি আরও কিছু আসন পেয়ে বিরোধী দল হতে পারত। মির্জা ফখরুল হতে পারতেন বিরোধী দলের নেতা। ক্ষমতায় আওয়ামী লীগই আসত যে কোনো ধরনের ভোটে। আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে তখন গোছানো ছিল। সমালোচনা হয়তো আছে, তার পরও ভুলে গেলে হবে না, আওয়ামী লীগ একটি গণমুখী রাজনৈতিক দল। এ দলের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। দলটি তার ঐতিহ্য ধরে রেখেই এখন ক্ষমতায়।

ভোট আর আওয়ামী লীগ দুটি যমজ শব্দ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বয়স এখন ৭৭ বছর। ছাত্ররাজনীতির মাঠ থেকে যাত্রা করেছিলেন। অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি দীর্ঘ সময় রাজনীতি ও ক্ষমতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১৯৮১ সালে দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। টানা সাফল্য নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। শেখ হাসিনা বিশ্বের কাছে এখন একজন প্রবীণ নেত্রী। তিনি বাংলাদেশকে আলোচনায় নিয়েছেন, নতুন উচ্চতা দিয়েছেন বিশ্বে। একটা সময় আওয়ামী লীগের জন্য তাঁকে দরকার ছিল। আজ তাঁকে বাংলাদেশের প্রয়োজন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখতে। কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে দেখেছি। তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি কঠিন মানসিক মনোবল। দেশে ফেরার পর বারবার হামলার মুখোমুখি হয়েছেন। ২১ আগস্ট তাঁকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। খুনিদের কবল থেকে আল্লাহ তাঁকে বারবার রক্ষা করছেন। ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাবা-মা, ভাই-ভাবি, আত্মীয়-পরিজন হারিয়ে দৃঢ়তা নিয়ে তিনি আজকের অবস্থানে টিকে আছেন। রাজনীতি করছেন। ১৯৮১ সাল থেকে কোনো হুমকি ও কঠিন পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত তাঁকে কাবু করতে পারেনি। শেখ হাসিনাকে নিয়ে আসমানি চিন্তা করে লাভ নেই। কোনো ষড়যন্ত্রে তিনি টলবেন না। ভোট ও ভাতের অধিকার আন্দোলন তিনি করেছেন। জয়ীও হয়েছেন। তাঁকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়েও লাভ নেই। কোনো অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক কিছুর কাছে তিনি মাথা নোয়াবেন না। দেশের স্বার্থে গ্রাহ্য করবেন না কোনো চাপ। বঙ্গবন্ধুর মেয়ে বাবার ধাঁচ পেয়েছেন। সহ্যক্ষমতা অনেক। সময়মতো রুখে দাঁড়াতে জানেন। আন্দোলন করা ও বন্ধ দুটোই জানেন। মানুষ বিশ্বাস করে বাংলাদেশকে তিনি কখনো তুলে দেবেন না কারও হাতে। তিনিই সরাসরি রাজনীতিতে এসে বন্ধ করেছেন হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। তাঁর নেত্বত্বে হবে আগামী নির্বাচনী সরকার। তফসিল ঘোষণার পর তিনি ভোট করিয়ে নেবেন। তার পরের বাংলাদেশ দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে। আস্থা রাখতে হবে বঙ্গবন্ধুর মেয়ের প্রতি। ঠুনকোভাবে কোনো কিছু না দেখে কঠিন বাস্তবতা মানতে হবে।

বাঙালি ঈর্ষাপরায়ণ জাতি। মিথ ও ফ্যান্টাসিতে ভোগে বেশির ভাগ মানুষ। এখানে কাজ করলে সমস্যা। কাজ না করাদের মানুষ বেশি ভালো জানে। এখন অনেকে ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’। অনেকে থাকেন হলুদের মতো সব তরকারিতে। অভিজ্ঞতায় দেখেছি, বঙ্গবন্ধু, মোশতাক, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া সবার সঙ্গে কাজ করা সাংবাদিককে সবাই সম্মান দেন সর্বজনশ্রদ্ধেয় হিসেবে। বাস্তবে কাজ করলে ভুল হবে। কাজ না করলে কিছুই হয় না। বরং কিছু লোক প্রচার করে তথাকথিত সততার গল্পে। বাস্তবে বেলা শেষে রাজনীতিবিদরাই দেশের জন্য কাজ করেন। সারাটা দিন ব্যয় করেন মানুষের কল্যাণে। খারাপ বা ভালো যা-ই লাগুক না কেন এ মুহূর্তের সত্য ঘটনা বাংলাদেশ এখন পারমাণবিক ক্লাবের ৩৩তম সদস্য। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাধারী স্যাটেলাইট আকাশে উড়ছে। পদ্মা সেতু এখন আর কোনো স্বপ্ন নয়। কর্ণফুলীতে টানেল দেশের উন্নয়নে এনে দিয়েছে নতুন মর্যাদা। বিধবা, বয়স্ক, মুক্তিযোদ্ধাসহ ২৫ রকমের ভাতার সামাজিক সুরক্ষায় সুফল পাচ্ছে মানুষ। গৃহহীন মানুষের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ঘর। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পেয়েছেন ৫৬০টি মডেল মসজিদ। শুধু সমালোচনা করলে তো হবে না। কঠিন বাস্তবতা দেখতে হবে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের কবর হয়েছে। সন্ত্রাস বন্ধ না করতে পারলে এতদিনে এ দেশ আফগানিস্তান হতো। কভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধের পর সারা বিশ্ব ক্ষতির মুখে পড়লেও বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। । এই ঘুরে দাঁড়ানোকে অস্বীকার কীভাবে করবে সবাই?

হাঁটলে চললে চোখ বন্ধ রাখা যায় না। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়কে নামার পরই মনটা ভরে যায়। চোখে পড়ে থার্ড টার্মিনাল। এ বদলে যাওয়াকে অস্বীকার করে অক্টোবর নিয়ে গুজব ছড়িয়ে লাভ নেই। অক্টোবরের পরের মাস নভেম্বর। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। বাংলাদেশ আরেকটি ভোটের দিকে এগিয়ে যাবে। সরকার বদল করতে সন্ত্রাস নয়, ভোটে আসতে হবে। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত লড়াই হিসেবে বঙ্গবন্ধু ভোটকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন। সেই ভোটে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভূমিকা রাখে। বর্তমান বাস্তবতায় অস্থিতিশীলতার দিকে না গিয়ে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুযায়ী সবারই ভোটে আসা উচিত। সব দল ভোটে এলে গণতন্ত্র নতুন মাত্রা পাবে। আগামীর বাংলাদেশ আরও বিশালত্ব অর্জন করবে। ভূরাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অবস্থানে বাংলাদেশ নিয়ে সারা দুনিয়ার এখনকার আলোচনা ইতিবাচকভাবেই দেখতে হবে। বাংলাদেশ এখন একটা ঈর্ষণীয় অবস্থান সৃষ্টি করেছে। আর করছে বলেই সবাই গুরুত্ব দিচ্ছে। এ অবস্থান ধরে রাখতে হবে দেশের স্বার্থে। সামাজিক মাধ্যমের গুজব নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই। গুজবে সরকার বদল হলে এতদিনে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার বাইরে থাকার কথা ২০০ বার। তাই গুজবে কান নয়। বাস্তবতা মেনে সব দলের উচিত ভোটে যাওয়া। অংশগ্রহণমূলক ভোট জানান দেবে কার জনপ্রিয়তা কতটুকু।

লেখক: সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন