ব্রিটিশ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্বনেতারা। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ভারত, কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন। শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

৯৬ বছর বয়সী এলিজাবেথ জীবদ্দশায় বিশ্বের শতাধিক দেশ সফর করেছেন। সব দেশের মানুষ তাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেন, রানির মৃত্যুর খবরে ‘আমরা সবাই বিধ্বস্ত’, এটি ‘(আমাদের) জাতি ও বিশ্বের জন্য একটি বিশাল ধাক্কা’। তিনি রানীকে ভিত্তি প্রস্তরের সঙ্গে তুলনা করেন, যার ওপর ভর করে আধুনিক ব্রিটেন নির্মিত হয়েছিল। ট্রাস বলেন, ‘ব্রিটেন তার কারণেই আজ মহান দেশ।’
হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘আমরা মর্মাহত। রানীর পরিবারের সদস্য ও যুক্তরাজ্যবাসীর সঙ্গে আমরা হৃদয় থেকে পাশে আছি।’’ শিগগিরই এ বিষয়ে বক্তব্য রাখার কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের।

ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টোলেনবার্গ বলেছেন, ‘রানী এলিজাবেথের বিদায়ে আমি গভীরভাবে ব্যাথিত। ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি নিঃস্বার্থভাবে জনগণের সেবা করে গেছেন। রাজপরিবারের সদস্যদের প্রতি আমার সহমর্মিতা।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ একজন অত্যন্ত সুন্দর এবং দারুণ নারী ছিলেন। আমি এবং মেলিনা তার বিদায়ে অত্যন্ত ব্যাথিত। আমার পরিবার ও সব মার্কিনি রাজপরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাই।’

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক টুইটে বলেছেন, আমার হৃদয় আজ ভারাক্রান্ত। কানাডার সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের রানী, আমাদের পছন্দের এলিজাবেথ আর নেই। আমাদের জীবনে সর্বদা তার উপস্থিতি ছিল। তার সকল কাজ কানাডীয়রা চিরদিন স্মরণ করবে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রানীর একটি ছবি টুইট করে তার প্রতি সম্মান জানিয়েছেন। শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে ভারত, কানাডা, আয়ারল্যান্ড ও ইউক্রেন এর পক্ষ থেকেও।

১৯৫২ সালে সিংহাসনে আরোহন করেছিলেন এলিজাবেথ। এই বছর সিংহাসন আরোহণের ৭০ বছর তিনি পালন করেছেন। অনেকের নতুন এলিজাবেথীয় যুগ বলে পরিচিত অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে বৃহস্পতিবার।

রাকিব/এখন সময়