১৯৩৫ সালের পর চলতি বছরের জুলাইয়ে ইংল্যান্ডে সবচেয়ে শুষ্কতম আবহাওয়া রেকর্ড করা হয়েছে। ওই মাসে গড় বৃষ্টিপাত হয়েছিল মাত্র ৩৫ শতাংশ। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের কিছু অংশ চার দিনের ‘চরম গরম’ সতর্কতার মধ্যে রয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডে খরা পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল। এবার দীর্ঘ সময় ধরে গরম এবং শুষ্ক আবহাওয়ার পরে দক্ষিণ, মধ্য ও পূর্ব ইংল্যান্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে খরা পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে ব্রিটিশ সরকার। গতকাল শুক্রবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ সংস্থা যে আটটি এলাকায় খরা ঘোষণা করেছে, সেগুলো হচ্ছে- ডেভন অ্যান্ড কর্নওয়াল, সোলেন্ট অ্যান্ড সাউথ ডাউনস, কেন্ট অ্যান্ড সাউথ লন্ডন, হার্টস অ্যান্ড নর্থ লন্ডন, ইস্ট অ্যাঙ্গিলা, টেমস, লিঙ্কনশায়ার অ্যান্ড নর্দাম্পটনশায়ার এবং ইস্ট মিডল্যান্ডস।

পানিমন্ত্রী স্টিভ ডাবল এক বিবৃতিতে বলেছেন, পানি সংস্থাগুলো আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে প্রয়োজনীয় সরবরাহ ব্যবস্থা এখনও নিরাপদ। শুষ্ক মৌসুমের জন্য আমরা আগের চেয়ে ভালোভাবে প্রস্তুত। তবে আমরা কৃষক ও পরিবেশের উপর প্রভাবসহ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব এবং প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নেব।

এএফপি জানিয়েছে, পানি সংস্থাগুলো এখন সরবরাহ বজায় রাখতে প্রাক-খরা পরিকল্পনা প্রণয়ন শুরু করবে। খরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে বিচক্ষণতার সাথে জল ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।

রাকিব/এখন সময়