নবী সোলাইমান (আলাইহিস সালাম) যে কেবল মানুষের নন, জ্বীনদেরও বাদশাহ্ ছিলেন তা’ অনেকেই জানেন। তাঁর বাবা দাউদ (আলাইহিস সালাম)ও নবী এবং বাদশাহ্ ছিলেন। তিনি জেরুসালেম নগরীতে বায়তুল মুকাদ্দাসের (ইহুদী ও খ্রিস্টানেরা বলে টেম্পল মাউন্ট) নির্মাণ শুরু করেন। হযরত সোলাইমানের (আ.) উদ্যোগে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। বায়তুল মুকাদ্দাস পরে ধ্বংস করা হলেও এর ধ্বংসাবশেষ ছিল মুসলমানদের প্রথম কিবলা এবং পশ্চিম দেয়াল এখনও ইহুদীদের প্রার্থনার পূণ্যতম তীর্থ।

সোলাইমান (আ.) বায়তুল মুকাদ্দাসের নির্মাণ কাজে জ্বীনদের নিয়োগ করেন। এরা কিছুটা অবাধ্য ও দুষ্ট প্রকৃতির ছিল এবং সুযোগ পেলেই কাজে ফাঁকি দিতো। তাই নবী সোলাইমান (আ.) নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নির্মাণ কাজ তদারক করতেন।

এভাবে কাজ চলতে চলতে একসময় নবী সোলাইমানের (আ.) মৃত্যুদিন ঘনিয়ে এলো। তখন তিনি একটি স্বচ্ছ কাঁচের ঘরে ঢুকে লাঠিতে ভর করে দাঁড়ালেন। সে অবস্থায় আজরাইল ফেরেশতা তাঁর জান কবজ করলো। তবে আল্লাহ্’র কুদরতে তাঁর মরদেহ লাঠিতে ভর করে দাঁড়িয়েই রইলো। এতে জ্বীনেরা মনে করতো সুলাইমান (আ.) দাঁড়িয়ে তাদের কাজ তদারক করছেন। ফলে তারা কঠোর পরিশ্রম অব্যাহত রাখলো।

এভাবে এক বছর কাটলো। ইতোমধ্যে জ্বীনেরা তাদের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করলো। আর সোলাইমান নবীর (আ.) লাঠিটাও ঘুনে খেয়ে জর্জরিত করে ফেলেছিল। কাজ শেষ হওয়া মাত্র লাঠিটি ভেঙে পড়লো। নবীর মরদেহও মেঝেয় পড়ে গেলো। জ্বীনেরা ছুটে এসে দেখলো অনেক আগে তিনি ইন্তেকাল করেছেন এবং লাশ শুকিয়ে মমির মতো হয়ে আছে। তারা যদি আগে টের পেতো তাহলে এভাবে বোকার মতন আদেশ তামিল করতো না।

বোকা জ্বীনদের মতন অনেকেই আসল খবর না জেনে এভাবে কার্যত মৃতদের হুকুম তামিল করে যায়। পরে পস্তায়ে আর লাভ হয় না কোনো।

মারুফ কামাল খান : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব