মিয়ানমারে মৌসুমী বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছরই এমন সময়ে দেশটিতে ভারি বর্ষণ হয়। তবে এবারের পরিস্থিতি অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে খারাপ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া আরও বৈরি হয়ে উঠেছে। সাইক্লোন মোচায় বিপর্যস্ত রাখাইন রাজ্য এবার বন্যায় ডুবে গেছে।

ইয়াঙ্গুনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাগোতে ভারি বৃষ্টির সময় অনেকে শহর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। অনেকে আটকা পড়েছেন বৃষ্টিতে।

সো মিন অং নামের এক বাসিন্দা বলেন, বাগোতে প্রতিবছরই বন্যা হয়। কিন্তু এবারের বন্যা খুবই ভয়াবহ। তিনি বলেন, ‘কয়েকটি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে গেছে। কিন্তু অনেক পারিবার যায়নি। কারণ তারনাবেভেচিল পানি বেশি উঁচুতে উঠবে না। অথচ কোথা কোথাও পানির উচ্চতা আমারও দ্বিগুণ।’

শুক্রবার রাত পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে গেছেন ৮৭০ জনেরও বেশি মানুষ। স্থানীয় কর্মকর্তা খিন মং বলেন, তাদের জন্য খাবার ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

৬৬ বছর বয়সী মিন থাও বলেন, তার দোতলা বাড়ির নিচতলা পানিতে ডুবে গেছে এবং পরিবার উপরের তলায় থাকতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বাগোতে সাত-আট বছরের মধ্যে এটি প্রথম প্রবল বন্যা।’

মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের পরিচালক লে শোয়ে জিন ও বলেছেন, পাঁচজন নিহত হয়েছে এবং শুক্রবার সারা দেশে সরিয়ে নেওয়া মানুষের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।