শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিদেশ ভ্রমণে যেতে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ড. ইউনূস প্রসঙ্গে আলোচনা হয়।

গতকাল সোমবার ওয়াশিংটনে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ‘ড. ইউনূসের জন্য ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করব, এটাই আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) আশা করি। কারণ, (শ্রম আইন লঙ্ঘনের এই মামলায়) আপিল প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।’

বেদান্ত প্যাটেলকে করা প্রশ্নে বলা হয়, নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেছেন বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীর আরেক ব্যক্তি। আদালতের আরেকটি আদেশে তার বিদেশ ভ্রমণের ক্ষমতা সীমিত করছে সরকার। ১২৫ জন নোবেলজয়ীসহ ২৪৩ জন বিশ্ব নেতাদের একটি জোট মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারিক হয়রানির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেনেটর ডিক ডারবিনের নেতৃত্বে ১২ জন দ্বিদলীয় মার্কিন সিনেটর সব হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট কীভাবে দেখছে?

ওই প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র আরও বলেন, ‘অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) উদ্বেগ প্রকাশ করছি যে, ড. ইউনূসকে ভয় দেখানোর উপায় হিসেবে এই মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।’

আরেক প্রশ্নে বলা হয়, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ) নির্বাচন জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায়নি বলে উদ্বেগ রয়েছে। যারা নির্বাচনকে ক্ষুণ্ন করেছে মার্কিন ভিসানীতির অধীনে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারি?

এর জবাবে প্যাটেল বলেন, ‘ভিসানীতির ক্ষেত্রে জানানোর মতো কোনো আপডেট আমার কাছে নেই। তবে আমি যা বুঝি তা হলো, নির্বাচন শেষ হলেই এই নীতির সমাপ্তি হয় না। ভিসানীতির কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।’