চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার মস্কো পৌঁছেছেন। তারা জ্বালানি এবং সামরিক ক্ষেত্রে কৌশলগত সহযোগিতার পাশাপাশি ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে আলোচনা করবেন।

মস্কোর ভনুকোভো বিমানবন্দরে অবতরণের পর শি বলেছেন, রাশিয়ায় ফিরে আসতে পেরে তিনি খুশি। বেইজিং ও মস্কোর মধ্যে দৃঢ় সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর তিনি জোর দিয়েছেন। তার মতে এই সম্পর্ক শুধুমাত্র দুই দেশের জন্য নয়, বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও। চীনা নেতা জোর দিয়ে জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে তার জাতি ‘জাতিসংঘকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা প্রতিহত করতে’ প্রস্তুত। দুই দেশ ‘সত্যিকারের বহুমুখিতা মেনে চলতে এবং গণতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সঙ্গে একটি বহুমুখী বিশ্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করবে, যাতে বৈশ্বিক বিষয়গুলোর উন্নয়নকে আরো ন্যায়সংগত এবং যুক্তিসংগত করা যায়।’

এদিন চীনা নেতা পুতিনের সঙ্গে একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করার কথা রয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের সহযোগী ইউরি উশাকভের মতে, এই বৈঠক ‘মূল এবং সংবেদনশীল বিষয়গুলোতে মনোনিবেশ করবে।’ তবে আলোচনার মূল পর্ব মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। চীনা নেতার সঙ্গে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্টিনেরও দেখা করার আশা করা হচ্ছে। পরে রাশিয়ান ও চীনা প্রতিনিধিদল একটি বর্ধিত আলোচনায় অংশ নেবে।

এ ছাড়াও মস্কো ও বেইজিং দুটি বড় যৌথ বিবৃতিসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার রূপরেখার মোট এক ডজন নথিতে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত বলে জানা গেছে। রাশিয়ান কর্মকর্তারা আগে বলেছিলেন, ঐতিহাসিক এই সফর এমন সময়ে হচ্ছে, যখন মস্কো ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এই সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন প্রেরণা দেবে।

এদিকে ইউক্রেন সংঘাত এজেন্ডায় বড় আকার ধারণ করবে বলেও আশা করা হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশে মস্কোর সামরিক অভিযান নিয়ে চীন নিন্দা করেনি। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায়ও তারা অংশ নেয়নি। বারবার সংঘর্ষের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। গত সপ্তাহে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, রাশিয়া সফরের পর শি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা করেছেন, যাতে সংঘাতের অবসানে মধ্যস্থতা করতে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা যায়।]

রাকিব/এখন সময়