সত্যি বলছি, ভূতে আমার বিশ্বাস, আস্থা কোনোটাই নেই। কিন্তু আমি রোজই ভূতের মুভি দেখি, ভূতের গল্প শুনি ও পড়ি।
আজ দুপুরেও ভূতের গল্প শুনছিলাম, অডিওতে। এটা সেটা শুনতে শুনতে একটা লিংক পেলাম। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের জীবনে ঘটে যাওয়া ভৌতিক ঘটনা। এত বড় লেখক তার উপর আমার প্রিয় ঔপন্যাসিক, তিনিও ভূতের কবলে পড়তে পড়তে বেঁচে গেছেন! ব্যাপারটা জানার পর মনটা তখন থেকে খচখচ করছিলো।

মনে পড়লো, আমাদেরই বাড়িতে একটা ভৌতিক ঘটনা। তখন আমি জন্মাইনি। আমার ছোটভাইয়া রেজওয়ান খন্দকার, ওর পড়ার টেবিলে একা ঘরে বই পড়ছিল। সম্ভবত সন্ধ্যেবেলা। এরই মধ্যে কারেন্ট চলে যায়। ঘর অন্ধকার হওয়া মাত্রই ছোটভাইয়ার গালে চপাট করে শব্দ করে কেউ চড় মারলো।

তৎক্ষণাৎ আবার কারেন্ট চলে এলো। ভাইয়া চারিদিকে তাকিয়ে দেখলো ঘরে কেউই নেই। ওর গাল ব্যথা করছিল।

খানিক বাদে মাকে দেখালে মাও দেখলো ওর গালে পাঁচ আঙুলের ছাপ লাল হয়ে আছে। অথচ সারা বাড়িতে কেউ ছিলো না তখন।

ছোটভাইয়া আরও এক দু’বার অস্বাভাবিক কিছু দৃশ্য দেখেছিলো। একবার প্রকৃতির ডাকে গভীর রাতে ওর ঘুম ভেঙে যায়। ঘর থেকে উঠোন পেরিয়ে বাথরুম। যেতে যেতে দেখছিলো বাড়ির পেছনে, পাশের বাড়ির শেওড়া গাছের ডালে ধবধবে সাদা কিছু একটা পাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে।

এসব কথা আমি বাড়িতেই শুনে শুনে বড় হয়েছি। ছোটভাইয়ার জীবনে অবশ্য ভৌতিক ঘটনার মাত্রাতিরিক্ত কোনো প্রকোপ ঘটেনি।

মনে পড়লো, গার্লস স্কুলের একটি ঘটনা। তখন আমি সম্ভবত ক্লাস ফোরে পড়ি, তখনও গার্লস স্কুলে ভর্তি হইনি। স্কুল ছুটির পর বিকেলবেলা সেখানে বিভিন্ন বয়সের মেয়েরা খেলতে যেতো তখন। আমিও যেতাম।

কেউ কেউ সন্ধ্যে পর্যন্ত খেলত। আযানের ঠিক আগে আগে সবাই মাঠ ছেড়ে যার যার ঘরে ফিরত। আমার অতক্ষণ খেলার সুযোগ ছিলো না। রেওয়াজে বসতে হত তাই।

তো একদিন খেলতে খেলতে হিসুর খুব চাপ এলো। আমি খেলা ছেড়ে স্কুলের উত্তর-পশ্চিম দিকে বাথরুমের দিকে এগোচ্ছিলাম। এমন সময় আরেকটি মেয়েও আমার পিছু নিল। এখনও ওর কথাগুলো মনে আছে। কিন্তু নাম চেহারা কিছুই মনে নেই। যেতে যেতে বললো, “জানিস আমারও না খুব চাপ লাগছে। কিন্তু কেউ যাচ্ছিলো না দেখে চেপে রাখছিলাম। তোকে দেখে তাই খেলা ছেড়ে আসলাম।” আমি খুব বিজ্ঞের মতন বললাম, “আম্মু বলছে কক্ষণো চেপে রাখতে হয় না। হিসু লাগলেই করে ফেলতে হয়। না হলে কিডনি নষ্ট হবে”।

ও বললো, ” জানি তো। আমার আম্মুও বলছে। কিন্তু একা একা ওখানে ভয় লাগে। ভূত আছে এই স্কুলে”। আমি ওর কথায় সেসময় কান দিয়েছিলাম বলে মনে পড়ছে না। আমরা দু’জন দু’জনকে কল চেপে বদনা ভরতে হেল্প করলাম। কম্মটি সেড়ে আবার মাঠে গেলাম। যা হোক সেদিন আমরা সবাই আকাশে কালো মেঘ জমতে দেখে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরেছিলাম।

তারপর একদিন দুইদিন এই করে গোটা সপ্তাহ যায়, ঐ মেয়েটাকে আর খেলার মাঠে পাই না। কোথাও বেড়াতে গেলে তো জানাতই। আমরা সবাই নানাবাড়ি ফুপুবাড়ি গেলে মাঠের সবাইকে আগের দিন জানাতাম। কিন্তু ঐ মেয়েটা কাউকেই কিছু জানায়নি। আমরা কয়েকজন আরও এক সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলাম। তারপর আর সহ্য করতে না পেরে এর ওর কাছে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলাম। কেউ একজন ওর বাড়ি চেনে বলায় আমরা ডিসিশন নিলাম, আজ খেলা বন্ধ। ঐ মেয়েটার খোঁজ নিয়ে আসি।

মেয়েটির বাড়িটি বেশ দূরেই ছিল। আমরা যেতে যেতে ভাবছিলাম, এই মেয়ে এতদূর থেকে মাঠে আসে শুধু আমাদের সাথে খেলার জন্য! ওর বাড়িতে ঢুকলাম। পাকা বাড়ি। সুন্দর একটা উঠোন। ওর খোঁজ নিতেই ওর মা বললেন, “ও আর মাঠে যাবে না”। কথাটা শুনে আমার কালো মুখটা আরও কালচে হয়ে গেলো। জানতে চাইলাম না কেন। তখনকার বয়সে অতো সাহস জন্মায়নি কারো মাকে পাল্টা প্রশ্ন করার। যা হোক ওর নানী ফোকলা দাঁতে বললেন, “ওইদিন খেলতে যায়া মাঠে পেশাব করছিলো, কার সাথে তোমরা জানো”?

আমার বুকটা ধরাস করে উঠলো। আমি কোনো অপরাধ করেছিলাম কি? এসব ভাবতে লাগলাম। কলিজা শুকিয়ে কাঠ। আমতা আমতা করে বললাম, “কেন”? আমার কথা উনি মনে হয় শুনতেই পারলেন না। সাথের একজন আমাকে দেখিয়ে দিয়ে বলেই দিল, “ওর সাথে গেছিলো”। আমি কি জিনিস তখনও সেভাবে জানতাম না, তবুও কোথায় অপরাধ করলাম সেটাই খুঁজতে হন্যে হয়ে গেলাম। নানী বললেন, “তুমিতো বড় বাঁচা বাঁচি গেইছো। কিন্তু আমার নাতীক তো ছাড়িলো না”, ফোঁকলা মুখে বলতে বলতে কেঁদেই ফেললেন বেচারি।

আমি তখনও বুঝিনি ঘটনাটার মাহাত্ম্য। নানীর কথা কেড়ে নিয়ে মেয়েটার মা বললেন, “কত পানিপড়া তাবিজ কবচ করা হৈলো, মোর বেটিক তাও ছাড়োছে না রে”। এবার উপস্থিত আমাদের সবার চোখ কপালে উঠলো। পানিপড়া, তাবিজকবচ শুনেই আমরা একটু আন্দাজ করলাম। ওনাদের বাকি কথায় জানতে পারলাম, আমাকে ভূতে ধরতে পারেনি কারণ আমি বাথরুমে পেশাব করেছিলাম। আর ওকে ধরেছে কারণ ও নাকি কলপাড়ের পাশে বা বাথরুমের পিছনে খোলা জায়গায় হিসু করেছে। এ কথাগুলো ভূতটাই নাকি কোনো এক ঝাড়ফুঁক বাবাকে জানিয়েছে। এক বন্ধু ভূতের আভাস পাওয়া মাত্রই আর ওখানে থাকতে চাইলো না। ঐ বাড়ি ছাড়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠলো। এরইমধ্যে পাশের ঘর থেকে তারস্বরে চিৎকার আর গোঙানির আওয়াজ ভেসে আসতে লাগলো। আমার কলিজা শিরদাঁড়া সব বরফ হয়ে গেছে ততক্ষণে। পাদুটাও নড়তে চায় না।

ঐটুকুন বয়সের মগজ, আর ঐটুকুন বুকের ভিতর যেটুকুন কলিজা -তা কীভাবে সামলাতে হয় আমি বুঝতেই পারছিলাম না। কিন্তু বিষয়টা আরও ক্লিয়ার হওয়া জরুরি সেটার তাগিদ আসছিল মনের কোথাও থেকে, হয়ত ওটাই ছিল আমার নাদান যৌক্তিক ব্রেইনের কার্যক্রম। এদিকে তো বরফ দশা, তবুও তদন্তের জন্য বুকটা নাকি মগজটাই টান টান হয়ে গেলো কোথাও।

ঐ মেয়ে যে খোলা জায়গায় হিসু করেছে, এ কথা তো আমি নিজেও এতদিন জানতাম না! ভূতটাকে এ কথা কে বললো! ভূতটাও তো মিথ্যে বলতে পারে। কারণ আমি তো টয়লেটে ঢুকে টের পেয়েছি পাশের টয়লেটের দরজাটা ও আটকিয়েছিলো। ও বেরোনোর সময়ও দরজা খোলার শব্দ শুনেছিলাম। আমার স্পষ্ট মনে আছে। ভূতটা কাকে ধরতে কাকে ধরলো কে জানে! এসব বিচিত্র চিন্তায় আমি তেড়ে উঠলাম কখন, কে জানে! বরফ তবু শিন শিন করছিলো হাড়ে। বলে ফেললাম, “ও তো দরজা লাগিয়েছিল। ও তো বাথরুমে ঢুকে পেশাব করেছিলো”।

আবারও ওই মেয়ের চিৎকারে টিনের চাল ভাঙার দশা। আমি আর থাকতে পারলাম না। দৌড়ে ওর ঘরের দিকে যেতে লাগলাম। এ ঘরের প্রায় সবাই মিলে মনে হয় আমাকে বাধা দিয়ে টেনে ধরল। আমি বললাম, “ওকে একটু দেখতে দেন”। অনেক কথার পর জানলার একটা কবাট খুলে দেখালো। ওর চোখ মুখ কেমন বিভৎস হয়ে আছে। বিছানায় শিকল বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে । এমন দৃশ্য আমি প্রথম দেখলাম, সিনেমায় দেখেছি বলেও মনে হয় না। কেমন রাগী রাগী দৃষ্টিতে তাকালো জানলার দিকে। তারপর আমাকে দেখে দৃষ্টিটা বদলে গেলো হঠাৎ যেন। আমার নাম ধরে ডাকলো কয়েকবার। মনে হলো বন্ধুটি খুব কষ্টে ছিল, আমাকে দেখে খুশি হয়ে ডাকছে। আমি বললাম, “আমাকে যেতে দিচ্ছে না রে”। তারপর ওর খাটভাঙা দাপানি শুরু হলো। অমন দৃশ্যও আমি এর আগে কোনোদিন দেখিনি। ওর মা বললেন, “তোমরা এখন এখান থেকে যাও যাও যাও। ওর মধ্যে ও নাই রে, তোমরা বুঝো না কেন? তোমার সাথে ও কথা বলতেছে না, ভূতটা কথা বলতেছে”।

আমার খুব মায়া হলো ওর জন্য। কিন্তু আমার বন্ধুরাও আর থাকতে চাইলো না সেখানে। ওরা আমার চাইতেও বেশি ভয় পাচ্ছে বলে মনে হলো। অগত্যা চলে এলাম। কিন্তু আমার মাথায় আজও ক্লিয়ার হয়নি, পাশের টয়লেটে তাহলে কে ছিলো? আমি দিব্যি জানতাম ওই মেয়েটাই গিয়েছিল।

এই ঘটনার কিছুদিন পরের ঘটনা। কত দিন না মাস তা বলতে পারছি না, মনে নেই। একবার আমাদের বাড়িতে দুলালি নামের একটা মেয়ে গৃহকর্মী হিসেবে এলো। ওর বাবা খুব অভাবী। মা নেই। মেয়েটি এতোই চটপটে যে আজও ওর কথা ভোলা দায়। আমার সময়বয়সী বা একটু ছোটই হবে হয়ত। কিন্তু ওর গুণের তুলনায় আমি কিছুই না তখন। মা একবার যা বলে দিত, দ্বিতীয়বার আর তা বলতে হয়নি কোনোদিন। আমরা সবাই ওকে খুব আদর করতাম। ও ছিলো আবার মা আর বাবার জন্য পাগলপ্রাণ। আর সারাক্ষণ ছোটভাইয়া ছোটভাইয়া ওর মুখে লেগেই থাকত। ওকে আমিও খুব পছন্দ করতাম। সন্ধ্যার পর ওকে আমরা সবাই লেখা পড়া শেখাতাম। কিন্তু ওর একদম সেটা পছন্দ হতো না। পড়া বাদ দিয়ে টিভি দেখার জন্য আনচান করত। যা হোক বেশ কয়েকমাস দুলালি সবার মন জয় করে থাকতে লাগলো। কয়েকমাস পর ওর বাবা এলো কয়েকদিনের জন্য নিয়ে যেতে। ও সেদিন ওর বাপের হাত ধরে নাচতে নাচতে গেলো। কয়েকদিন পর ফিরেও এলো। কিন্তু যে ফিরে এলো সে আমাদের সেই দুলালি নয়, এ এক অন্য দুলালি!

ওর বাবার কাছে আমরা জানলাম, ওকে যাওয়ার দিনই নদীর বাতাস পেয়েছে। মানে নদীর ভূত ধরেছে। ওর বড় বড় পাপড়িওয়ালা ডাগর চোখ দুটো কেমন ফ্যাকাসে হয়ে গেছে।

আমাদের কাউকে চিনতে পারলো না। কোনো কথাও বললো না কারো সাথে। কী যেন বিড়বিড় বিড়বিড় করেই চলছে অবিরাম। আমি ওর হাত ধরলেই ও লাফ দিয়ে উঠোনের বড়ই গাছে গা ঘেঁষে লেপ্টে যাচ্ছে। মাও ওকে ছুঁতে পারলো না। আর আমার তো কান্না শুরু হয়ে গেলো। মা ওর বাবাকে বললেন, “ওকে ডাক্তার দেখা এখনই”। আমরা লক্ষ্য করলাম দুলালি শুধু ওর বাবার কাছেই থাকতে চায়, আর বাবার কথাই শোনে।

এমতাবস্থায় মা লোকটিকে কিছু টাকা দিয়ে গম্ভীর গলায় বললেন, “চিকিৎসা করা আগে। আমার কাছে তো আসতেই চায় না। ওকে নিয়ে যা। কী হয় না হয় জানাস”। তারপর আর কোনোদিনও ওই লোকের কিংবা দুলালির কোনো খোঁজ আমরা পাইনি এমনকি আজ পর্যন্তও।

যা হোক, বলছিলাম বিখ্যাত লেখক শীর্ষেন্দুর কথা। তিনি শ্রী অনুকূল ঠাকুরের ভক্ত। বয়স যখন তিরিশ তখন থেকেই জীবনের নানারকম জটিল অবস্থা শিকার হয়ে ঘটনার বাতাবরণে তিন শ্রী অনুকূল ঠাকুরের স্মরনাপন্ন হয়েছিলেন। কোনো এক সময় তিনি পুনেতে যান, সেখানেই একটি প্রাচীন রেস্টহাউজ বা হোটেলে ভৌতিক ঘটনার শিকার হয়েছিলেন।

তারপর আরও সব ঘটনা তিনি নিজ মুখেই জানিয়েছেন বিভিন্ন মাধ্যমে। এগুলো আপনারা ইউটিউবে পাবেন, তাই আর বলছি না। যে কারণে এই ভৌতিক বিষয়ে আজ পোস্ট দেওয়া, তা হলো লেখক শীর্ষেন্দু’র মতে, এসব ঘটনা অন্যের মুখে শুনে যে কেউ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে আরম্ভ করে, যা ঠিক নয়। কারণ যার সাথে ঘটে শুধু সেই জানে ঘটনাগুলো কীভাবে কতখানি ভয়ঙ্কর বা আনন্যাচারালি ঘটে। “যা আমার সাথে ঘটেছে তা তুমি কী করে বুঝবে? তুমি তো এই ঘটনাস্থানে আমার সঙ্গে ছিলে না, তুমি জানোও না, ঘটনাকালে অনুভূতিটা কেমন থাকে। তুমি কেন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে যাবে? আমার কাছে কি কম বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে”?

ঠিক তাই, আমি অবিশ্বাস করি বলে ছোটভাইয়াকে বেশ কিছুদিন আগে বলেছিলাম, মনে হয় কোনো বাদুড় বা চামচিকে ঐ সময় উড়ে গেছিলো তোর গালের পাশ দিয়ে। ছোটভাইয়া তখন বলেছিলো, বাদুড়ের আঁচড় আর হাতের পাঁচ আঙুলের থাপ্পড়ের দাগে পার্থক্য আছে না?

হ্যাঁ, ঐ মূহুর্তে ছোটভাইয়া যা উপলব্ধি করেছে ওর ইন্দ্র সমেত অনুভূতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে উপলব্ধ হয়েছে। আমরা বাদুড়, চামচিকে অনেক যুক্তি দিলেও কিন্তু ওর সেই উপলব্ধির মাঝে ঢুকতে পারব না কিছুতেই। তাই, কেউ ভূত দেখেছে বা অনুভূত হয়েছে- এ কথা শোনার সাথে সাথেই কেউ হেসে উড়িয়ে দিবেন না, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার নামে অপব্যাখ্যা দিতে যাবেন না এবং তার কথাটিকে অগুরুত্বপূর্ণ করে ফেলবেন না। কারণ এসব ঘটনা কারো সাথে ঘটলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পাগল, মেন্টাল, মানসিক ভারসাম্যহীন ইত্যাদি বিশেষণের অত্যাচারে ঐ লোকগুলো একা হয়ে যায়, অসহায় হয়ে যায়। আমাদের উচিত তার সম্পূর্ণ কথা শোনার পর তাকে বুঝতে দিতে হবে আমরা তার সব কথা বিশ্বাস করেছি। যেন সে মানসিক স্বস্তি বোধ করে। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ গোপনে নিবেন। কিন্তু তাকে দেখিয়ে দেখিয়ে প্যারানর্মাল এক্সপার্টদের সাথে কথা বলবেন – যাতে করে সে বোঝে আপনি তার দেখা ভূতকে বিশ্বাস করেন বলেই ভূত তাড়াতে প্যারানর্মাল এক্সপার্টের কাছে এসেছেন। এ সময় মানসিকভাবে তার পাশে থাকাটাই প্রধান কর্তব্য। নইলে যখন তখন যে কোনো অঘটন ঘটে যেতে পারে।