কানাডায় শিখ নেতা হত্যার পরিপ্রক্ষিতে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার ভারতের বিরুদ্ধে জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।

নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, তার দেশও ‘রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের’ শিকার হয়েছে এবং ওই সব সন্ত্রাসবাদে ভারতের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ বিভিন্ন বৈশ্বিক ফোরামের কাছে প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সম্ভবত এটি এই ধরণের প্রথম ঘটনা যেখানে একটি এশিয়ান দেশ পশ্চিমা মাটিতে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং এর প্রভাব পশ্চিমা দেশগুলোতে অনুভূত হচ্ছে। তারা এখন বুঝতে পেরেছে যে ভারত কীভাবে তার খ্রিস্টান, শিখ এবং মুসলমানদের মত সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করছে।

তিনি বলেন, কানাডায় শিখ নেতার হত্যাকাণ্ড পশ্চিমাবিশ্বকে নাড়া দিয়েছে এবং এতে ভারতের সম্পৃক্ততা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন ওঠেছে। ভারতের এই ‘রুক্ষ আচরণ’ দমন করার জন্য একটি জোট গঠন করা উচিত।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কানাডায় শিখ নেতা হরদিপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারতের হাত রয়েছে বলে দাবি করার পর কানাডা ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, যদিও নয়াদিল্লি তাদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

এদিকে কানাডাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিটিভি নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শিখ নেতা হরদিপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টদের সম্ভাব্য সংশ্লিষ্টতা তথ্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জেনেছিলেন ‘পঞ্চনেত্র’ বা ‘ফাইভ আইস’ নামের একটি নেটওয়ার্ক থেকে।

ফাইভ আইস নেটওয়ার্ক হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের নেটওয়ার্ক।