যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ করে দেওয়া সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বা এসভিবি ব্যাংকের আমানতকারীদের রক্ষায় কাজ করার অঙ্গীকার করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। ব্যাংক বন্ধ করার ক্ষতি করদাতাদের বহন করতে হবে না বলেও জানিয়েছে তারা। মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের বোর্ড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল ও ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন এফডিআইসির চেয়ারম্যান মার্টিন গ্রুয়েনবার্গ রবিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ‘আমানতকারীরা সোমবার থেকে তাদের অর্থ ব্যবহার করতে পারবেন। সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বন্ধ করার ক্ষতি করদাতাদের বহন করতে হবে না।’

কর্তৃপক্ষ মনে করছে, ব্যাংকটির যে সম্পদ আছে তা দিয়ে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হবে। ২০২২ সালের শেষে ব্যাংকটির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ২০৯ বিলিয়ন ডলার। আর ব্যাংকটিতে জমা আছে প্রায় ১৭৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। সম্পদের হিসাবে এসভিবি যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম বৃহত্তম ব্যাংক। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্টার্টআপ কম্পানিকে টাকা ধার দিত এসভিবি।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বছর কয়েক দফা সুদহার বাড়িয়েছিল। এতে এসভিবি ব্যাংকের বন্ড ও সিকিউরিটিজসহ অন্যান্য সম্পদের বাজারদর কমতে থাকে। সে কারণে আমানতকারীরা ব্যাংক থেকে টাকা তোলা শুরু করেছিলেন। এই ক্ষতি পোষাতে ব্যাংককে বন্ড বিক্রি করতে হতো।

এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার ব্যাংকটি বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। একে ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। রবিববার নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক ব্যাংক সিগনেচার ব্যাংকও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে বিশ্বের স্টার্টআপ বাজারের একটি বড় অংশ ভারতের। এসভিবি ব্যাংক বন্ধ করায় ভারতের স্টার্টআপ কম্পানিগুলো সমস্যায় পড়েছে বলে টুইট করেছেন মিরা অ্যাসেট ভেঞ্চার ইনভেস্টমেন্টের (ভারতে) প্রধান নির্বাহী আশীষ ডেভ।

ভারতের প্রযুক্তিমন্ত্রী রবিবার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বুঝতে তিনি এই সপ্তাহে স্টার্টআপ কম্পানিগুলোর সঙ্গে বসবেন। এ ছাড়াও জার্মানির অর্থনীতিবিষয়ক দৈনিক হান্ডেলসব্লাট বলছে, ইউরোপে এসভিবি ব্যাংকের প্রায় তিন হাজার ৬০০ ক্রেতা রয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ ক্রেতা জার্মানির। কানাডা, ব্রিটেন ও চীনেও এসভিবি ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি আছে।

রাকিব/এখন সময়