প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্ববাসী বাবা দিবস হিসেবে পালন করে। বাবার সঙ্গে স‍ুন্দর সময় কাটানোসহ নানা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয় দিনটি। কিন্তু কোথা থেকে বা কবে থেকে বাবা দিবস পালনের সূচনা, তা আমাদের অনেকেরই অজানা। হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর আজ পড়েছে বাবা দিবস। বিশ্বের কয়েকটি দেশ ভিন্ন মাসের কয়েকটি ভিন্ন তারিখে বাবা দিবস পালন করলেও, একটি বিশাল অংশ যেমন- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চিলি, কলাম্বিয়া, কোস্টারিকা, কিউবা, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ফ্রান্স, গ্রিস, হংকং, ভারত, আয়ারল্যান্ড, জ্যামাইকা, জাপান, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ড, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, সুইজারল্যান্ড, বাংলাদেশ, ভেনিজুয়েলা ও জিম্বাবুয়েসহ আরও কিছু দেশে জুনের তৃতীয় রোববার এ বিশেষ দিনটি পালিত হয়।

ধারণা করা হয়, বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে বাবা দিবস পালন শুরু হয়। মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল- এটা বোঝানোর জন্যই এই দিবসটি পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্ট এলাকার এক গির্জায় ‘বাবা দিবস’ প্রথম পালিত হয়। অন্যদিকে ১৯০৯ সালে ভার্জিনিয়ায়ও বাবা দিবস পালন করা হয়। এরপর ওয়াশিংটনের সনোরা স্মার্ট ডড নামের এক নারীর উদ্যোগে ১৯১০ সালের ১৯ জুন বাবা দিবস পালন করা হয়।

মা-এর পাশাপাশি বাবাও যে সন্তানের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ এ ধারণা ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে দানা বাঁধতে শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে তৎকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করেন।

শুরুর দিকে বাবা দিবসের এতটা জনপ্রিয়তা না থাকলেও বর্তমানে বাবা দিবসকে বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করা হয়। আর একজন প্রকৃত সন্তান হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত এই বিশেষ দিনটিতে নিজের বাবাকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা করা।

রাকিব/এখন সময়