যেসব ফিলিস্তিনি প্রাথমিকভাবে ‘নিজেদের বাঁচাতে’ ইসরায়েলি আদেশের প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণে চলে গিয়েছিল তারা গাজায় তাদের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। কারণ দক্ষিণেও ইসরায়েলি হামলা চলছে। শুক্রবার আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা খুবই উদ্বিগ্ন যে ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক হামলা গাজাসহ দক্ষিণাঞ্চলে অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণে হামলা ও অত্যন্ত কঠিন জীবনযাত্রার কারণে ভারী বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও কিছু লোক উত্তর থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে।’

শামদাসানি একজন অজ্ঞাত ফিলিস্তিনিকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, ‘আমি নিজের বাড়িতেই মারা যেতে পারি।’

৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলা শুরু পর এ পর্যন্ত চার হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় খাদ্য, ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে না। গত সপ্তাহে ইসরায়েল সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, গাজার দক্ষিণে টানা হামলা চলবে তাই বাসিন্দারা যেন উত্তরে সরে যায়। গত সপ্তাহে উত্তরে যাওয়া ফিলিস্তিনি গাড়িবহরে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই ঘটনায় শতাধিক নিহত হয়েছে। এছাড়া উত্তরের খান ইউনিসও রাফাতে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

সেলিম আবু মারাসা খান নামের দক্ষিণের এক বাসিন্দা পরিবারসহ উত্তরের দিকে যাচ্ছিলেন। তবে তিনি সেখান থেকে পুনরায় দক্ষিণে নিজের বাড়ির দিকে রওয়ানা হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘ইউনিসে আমরা কেন শহীদ হব? আমাদের ঘরে শহীদ হয়ে যাওয়া ভালো। পুরো ভবন আমাদের মাথায় পড়ুক।’