সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিন কর্মপরিকল্পনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। প্রথমত, পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার ও তাদের দোরগোড়ায় খাবার পৌঁছে দেওয়া, দ্বিতীয়ত, বন্যা পরবর্তী সময়ে দুর্গতদের জন্য গৃহ নির্মাণ, খাবার, ওষুধের ব্যবস্থা এবং তৃতীয়ত, বন্যায় যাদের কৃষিজমি নষ্ট হয়েছে তাদের জন্য বীজতলা তৈরিসহ বিনামূল্যে বীজ বিতরণের ব্যবস্থা।

রোববার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে যৌথসভা শেষে দলের জাতীয় ত্রাণ কমিটির আহ্বায়ক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি আপাতত দলের নানা সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত রেখে বন্যাকবলিত বানভাসিদের সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। সিলেট অঞ্চলে গত ১০০ বছরেও এমন বন্যা হয়নি। এ পরিস্থিতিতে বিএনপি গণমানুষের দল হিসেবে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সিলেট জেলা, মহানগর, সুনামগঞ্জ জেলা, পৌরসভা ও ছাতকে দলের নেতা-কর্মীরা ইতোমধ্যে রিলিফ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে।

টুকু বলেন, আজকে আমরা দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছি। ত্রাণসামগ্রী যাতে সঠিকভাবে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারি সে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলের প্রতিটি অঙ্গসংগঠন নিজ নিজ ব্যানারে বন্যা উপদ্রুত এলাকাগুলোতে কাজ করবে। প্রতিটি সংগঠনের স্টিয়ারিং কমিটি থাকবে। সেই কমিটি এসব কার্যক্রম মনিটরিং করবে এবং সে অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটিতে রিপোর্ট দেবে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যে রিপোর্ট পেয়েছি তাতে আমাদের নেতা-কর্মীরা প্রায় ১০ হাজার লোকের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। তারা বড় বড় নৌকা ভাড়া করে পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করছে। প্রায় ১০০ নৌকা এ লক্ষ্যে কাজ করছে। যদিও বন্যাকবলিত অনেক এলাকায় নৌকা ঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমাদের ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বন্যাদুর্গত এলাকায় পানিবাহিত রোগবালাই প্রতিরোধে ওষুধ বিতরণ, খাবার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হবে। এসব কার্যক্রম পর্যালোচনায় আগামী ২১ জুন আবারও ত্রাণ কমিটির বৈঠক হবে এবং সেখানেই পরবর্তী করণীয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

যৌথ সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ড্যাব সভাপতি ডা. হারুন আল রশীদ, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাকিব/এখন সময়