টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস সেমিফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারায় নিউজিল্যান্ড।

পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান আসরের প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড পাঁচ উইকেটের জয় পেয়েছে। প্রথমে ব্যাট করে ১৬৬ রান তোলে বর্তমান রানার আপ ইংল্যান্ড।

জবাবে ম্যাচের অনেকটা সময় পিছিয়ে থেকেও জিমি নিশাম ও ড্যারেল মিচেলের ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড।

ওয়ানডে বিশ্বকাপ, আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এবারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো নিউজিল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ড পনেরো ওভার পর্যন্ত যেভাবে ব্যাট করেছে তাতে মনেই হয়নি এক ওভার হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেবে। কিন্তু জিমি নিশামের ১০ বলে ২৬ রানের একটি ইনিংস সব হিসেব বদলে দিয়েছে।

এক ওভার ও পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতেছে নিউজিল্যান্ড।

শুরুতে টসে জিতে বোলিং নেয় নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ড যেভাবে ব্যাটিং করেছে তাতে মনে হয়েছে একটা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়ন করেছে দলটির ব্যাটসম্যানরা।

উইকেট হারানোর পর খেই হারায়নি ব্যাটসম্যানরা এবং নিয়মিত উইকেটের প্রান্ত বদল করে রানের চাকা সচল রেখেছে মিডল অর্ডার।

আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতে নিয়ন্ত্রিত আক্রমণ শুরু করেন ইংল্যান্ডের জশ বাটলার ও জনি বেয়ারস্টো।

ম্যাচের শুরুতেই ট্রেন্ট বোল্ট লাইন লেন্থ মিস করেন। বেয়ারস্টো ও বাটলারের উইকেট হারালেও নিয়মিত রান তুলতে থাকে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা।

প্রায় নয় রান রেটে ৬৩ রানের জুটি গড়েন দাউইদ মালান ও মইন আলী। ইংল্যান্ডকে ১৬০ এর বেশি স্কোরে নিয়ে যেতে এই জুটিই বড় অবদান রেখেছে।

মালান ৩০ বলে ৪১ রান তোলেন, মালান ও আলীর জুটির কারণে কেইন উইলিয়ামসন ফর্মে থাকা বাঁহাতি স্পিনার কেইন উইলিয়ামসনকে বল হাতে দেননি এক ওভারের পরে।

ভারতের স্পিনার রাভিচান্দ্রান আশ্বিন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কৌতুক করে টুইট করেন, ”যেন স্যান্টনার কখনো কোনও বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের উইকেট পায়নি”।

ইশ সোধি ভালো শুরু করেও শেষ পর্যন্ত চার ওভারে ৩২ রান দেন, বোল্ট দেন চার ওভারে ৪০ রান। শেষ দিকে লিয়াম লিভিংস্টোন ১০ বলে তোলেন ১৭ রান।

৩৭ বলে ৫১ রান তুলে মইন আলী ছিলেন প্রথম ইনিংসের মধ্যমণি। শেষ পাঁচ ওভারে পঞ্চাশের মতো রান নিয়েছে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই মার্টিন গাপটিলের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে নিউজিল্যান্ড। কিছুক্ষণ পরে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনও ক্রিস ওকসের বলে ক্যাচ তুলে ফিরে যান, তিনি ১১ বল খেলে পাঁচ রান তোলেন।

এরপর ডেভন কনওয়ে ও ড্যারেল মিচেল হাল ধরেন, ৬৬ বলে ৮২ রানের জুটি গড়েন। এই জুটি ভাঙ্গে ১৪তম ওভারে।

লিভিংস্টোন ৪৬ রানে কনওয়েকে ফিরিয়ে দেন, স্ট্যাম্পড করেন বাটলার। ইংল্যান্ডের এই পার্ট টাইম লেগস্পিনার দুটি উইকেট নেন, চার ওভার বল করে তিনি অধিনায়ক মরগানের দুশ্চিন্তা লাঘব করেন। কিন্তু এরপর ক্রিস জর্ডান ও আদিল রশিদের দুই ওভারে ঝড় তোলেন নিশাম ও মিচেল।

শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ২০ রান। এক ওভারেই ২০ রান নিয়ে নেয় নিউজিল্যান্ড। ম্যাচের অনেকটা সময় কঠিন এক সমীকরণে থেকেও ম্যাচ জিতে নিলো নিউজিল্যান্ড।

ফাইনালে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জয়ী পাকিস্তান অথবা অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড।

এখন সময়/শামুমো