ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে গত ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তবে এবার প্রথমবারের মতো পদাতিক বাহিনী ও ট্যাংক নিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় প্রবেশ করেছে।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রতীরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার রাতে তাদের ট্যাংক ও পদাতিক বাহিনী উত্তর গাজায় প্রবেশ করেছে। রাতভর এ অভিযানে অনেক হামাস যোদ্ধাকে তারা হত্যা করেছে। হামাসের সামরিক অবকাঠামো ও ট্যাংক-বিরোধী অবস্থানগুলোও তারা ধ্বংস করেছে।

আইডিএফের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর পাঁচটি পদাতিক ইউনিটের মধ্যে অন্যতম একটি ইউনিট ‘গিভাতি ব্রিগেডের’ নেতৃত্বে এই অভিযানটি গাজায় ‘যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ের’ প্রস্তুতি হিসেবে পরিচালনা করা হয়েছে। তারা নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে মাথায় রেখেই গাজায় প্রবেশ করেছে। অনেক হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

সফল অভিযান শেষ করে উত্তর গাজা থেকে তারা বেরিয়ে এসেছে বলেও জানিয়েছে আইডিএফ। তবে বিবৃতিতে ইসরায়েলি সৈন্যদের হতাহতের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

ইসরায়েল গাজায় স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি হিসেবেই এই অভিযান চালিয়েছে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাজায় স্থল অভিযান চালালোর জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। কিন্তু স্থল অভিযান শুরুর ক্ষেত্রে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মধ্যে রয়েছে। বুধবার এ নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

জো বাইডেন হামাসের হাতে বন্দিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং স্থল যুদ্ধ শুরুর আগে তাদের মুক্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে চান। অপরদিকে নেতানিয়াহু বলছেন যে, তাদের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং ইসরায়েলি বাহিনী কখন গাজায় স্থল অভিযানে যাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার ঐক্যমতের ভিত্তিতে নেয়া হবে।