পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে হাতাশাজনক ফল করায় তিনটি রাজনৈতিক দলের প্রধান পদত্যাগ করেছেন। গতকাল সোমবার পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।এদের মধ্যে দুজন আবার শুধু দলীয় প্রধানের পদ নয়, রাজনীতিও ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এই তিন রাজনীতিক হলেন- ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তানের (আইপিপি) প্রধান জাহাঙ্গীর তারিন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্লামেন্টারিয়ানের (পিটিআই-পি) কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পারভেজ খটক ও জামায়াতে ইসলামীর আমির সিরাজুল হক। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর তারিন ও পারভেজ খটক আর রাজনীতি না করার ঘোষণা দিয়েছেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর পিটিআইকে রাজনীতির মাঠ থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। সেই প্রতিকূল সময়ে দল ছেড়ে দেন অনেকে। কঠিন সময়ে ইমরানকে ত্যাগ করা খ্যাতনামা রাজনীতিকদের মধ্যে পারভেজ খটক অন্যতম।
নির্বাচনী প্রচারের সময় খটক জোর গলায় দাবি করেন, তিনি আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আর পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও জয়ের পর তার সঙ্গে জোট করবেন। কিন্তু ভোটে তার ভরাডুবি হয়েছে। উল্টো প্রভাবশালী এই নেতা এখন নিজেই ছাড়লেন রাজনীত।
অপর নেতা চিনি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর তারিনও এক সময় ইমরানের খুব কাছের ছিলেন। নির্বাচনের আগে তিনি পিটিআই ছেড়ে গঠন করেন ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি (আইপিপি)। তবে ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তার দলও চরমভাবে পরাজিত হয়। মুলতানে পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীর কাছে তিনি নিজেও হেরে যান। এ ছাড়া নিজের জন্মস্থান লোধরানেও হেরেছেন পিএমএল-এন প্রার্থীর কাছে।
বিজয়ী প্রতিদ্বন্দ্বীকে অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স পোস্টে জাহাঙ্গীর তারিন লিখেছেন, ‘নির্বাচনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজয়ীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।সেই সঙ্গে তিনি শুভাকাঙ্ক্ষী ও নিজের সমর্থকদের ধন্যবাদ দিয়েছেন।’
পোস্টে তিনি আইপিপির চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি রাজনীতি থেকেও বিদায়ের কথা বলেন। তবে দেশের সমৃদ্ধির জন্য ব্যক্তিগত পর্যায়ে কাজ করে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন এই রাজনীতিক।
এদিকে এক্সে অপর এক পোস্টে জামায়াতের আমির সিরাজুল হক লেখেন, ‘নির্বাচনে ভরাডুবির দায় স্বীকার করে নিচ্ছি। সেই সঙ্গে দলীয় প্রধানের পদ ছেড়ে দিচ্ছি।’
খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের লোয়ার দির আসন থেকে নির্বাচন করেন জামায়াতে ইসলামীর এই আমির। কিন্তু পিটিআই-সমর্থিত বশির খানের কাছে তিনি হেরে যান বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
