পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় ৫৮০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গৃহহীন হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত তিন সপ্তাহ ধরে চলা টানা ভারী বৃষ্টিতে পাকিস্তানে হঠাৎ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। পুরো বর্ষা মৌসুমের মোট বৃষ্টিপাতের ৬০ শতাংশ হয়েছে বিগত তিন সপ্তাহে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। বন্যার কারণে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দেখা গেছে বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুন খাওয়া ও সিন্ধু প্রদেশে। শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। মঙ্গলবার টানা বৃষ্টিপাতে বন্দরনগরী করাচিতে মারা গেছে এক ব্যক্তি। এই নগরীতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় গত জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ও দরিদ্রতম প্রদেশ বেলুচিস্তানে বন্যায় মারা গেছে প্রায় ২০০ মানুষ। গত ৩০ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখা গেছে প্রদেশটিতে। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের ৩০৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে চলতি বর্ষা মৌসুমে। প্রদেশটির ৫৭০টিরও বেশি স্কুল ধ্বংস হয়ে গেছে এবং এখানে মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও লাসবেলার এমপি জাম কামাল বলেছেন, ‘আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা সত্ত্বেও বন্যা মোকাবেলার কোনো পূর্বপ্রস্তুতি ছিল না। প্রাদেশিক সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যকারী স্বেচ্ছাসেবক না থাকলে আরও বেশি মানুষ ক্ষুধায় মারা যেত। জীবনে এমন বৃষ্টি কেউ দেখেনি।’

রাকিব/এখন সময়