পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা পাঁচটায় শেষ হয় ভোট (বাংলাদেশ সময় ছয়টায়)। এখন চলছে গণনা। খবর জিও নিউজের।

দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হাক কাকার বলেছেন, ভোটদানে বিপুল পরিমাণ মানুষের অংশগ্রহণে বোঝা যায়, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। এমন নির্বাচন আয়োজন করায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে নির্বাচন নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল থেকে প্রার্থী হওয়া নেতাদের। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ ও ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ করেছে তেহরিক ই পাকিস্তানের নেতারা।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে মুঠোফোন সেবা সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অনেকটাই বেড়ে গেছে। এতে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। অবনতি ঘটছে দেশের নিরাপত্তা পরিবেশের। এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার ঝুঁকির বিপরীতে ‘সুরক্ষাকবচ’ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুসারে, এবারের নির্বাচনের জন্য ১২ কোটি ৮০ লাখের বেশি নিবন্ধিত ভোটার আছেন। ২৬৬ আসনে মোট ৫ হাজার ১২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এবারের নির্বাচন ও ফল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন ৩৪৯ জন বিদেশি সাংবাদিক এবং ১০৩ জন বিদেশ থেকে আসা পর্যবেক্ষক।

বর্তমানে ইসলামাবাদ, লাহোর, করাচি ও সংলগ্ন এলাকায় পর্যবেক্ষকরা রয়েছেন।