পাকিস্তানের সংসদে হিন্দু বিয়ের বিল পাশ হয়েছিল ২০১৭ সালে। কিন্তু এতদিন তা স্বীকৃতি পায়নি। অবশেষে পাকিস্তানের এক স্থানীয় প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে এই আইনকে স্বীকৃতি দিল। যার ফলে এবার দেশটির সংখ্যালঘু হিন্দুরা ওই আইন অনুসারে বিয়ে করতে পারবেন। বিশেষ করে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ, খাইবারপাখতুনখোয়া ও বালুচিস্তানের বাসিন্দারা নতুন আইনে অনেক উপকৃত হবেন।

আইন অনুযায়ী, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর। বিধবা হওয়ার ছয় মাস পর ফের বিয়ে করা যাবে। শুক্রবার পেশ করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে এই আইনের অধীনস্থ নিয়মগুলির কথা তুলে ধরা হয়েছে।

এ ছাড়াও ইসলামাবাদের ইউনিয়ন কাউন্সিল হিন্দুদের বিয়ে দেওয়ার জন্য ‘মহারাজদের’ নথিভুক্ত করবে। মহারাজ হওয়ার প্রাথমিক শর্ত, তাকে হিন্দু হতে হবে এবং হিন্দু ধর্মে প্রভূত জ্ঞান থাকতে হবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তত ১০ জনের সম্মতি ও পুলিশের অনুমতি থাকলে তবেই একজন মহারাজ হতে পারবেন। বর্তমানে এই আইন ইসলামাবাদে লাগু হলেও রাজধানীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ও গ্রামীণ এলাকাতেও তা বলবৎ থাকবে।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানে হিন্দু ছাড়া অন্য নারীদের ক্ষেত্রে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৬। পাঞ্জাব প্রদেশ, খাইবারপাখতুনখোয়া ও বালুচিস্তানে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা অহরহ ঘটে। তাই সেখান থেকে অনেক হিন্দু ইসলামাবাদ চলে গেছেন।

রাকিব/এথন সময়