ম্যাচপূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেছিলেন প্রথম ম্যাচে জয় নিশ্চিত করে ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকতে চান। পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করেছেন মাঠে।

আজ কমলাপুরের বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকলো বাংলাদেশ। দলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন সাগরীকা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে নেপালের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে খেলে পুরোটা সময়। এই ম্যাচে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছেন সাগরীকা।

ম্যাচের পাঁচ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। স্বপ্না রানির ফ্রি-কিক গোলরক্ষক ঝাপিয়ে রক্ষা করেন। নেপালের গোলরক্ষক সুজাতাতামাংয়ের হাতে লেগে দিক বদলে বারে প্রতিহত হয়। ফিরতি বলে মুনকি আক্তার বল জালে জড়াতে চেষ্টা করলেও তার শট ডিফেন্ডাররা আটকে দেন।

দুই মিনিট বাদেই আবারও আক্রমণ শানায় বাংলাদেশ। বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন মুনকি আক্তার। তবে নেপালের গোলরক্ষক এগিয়ে এসে তাকে থামান। ম্যাচের ১৪ মিনিটে বক্সের মধ্যে বল পান পূজা দাস। তার মাটি কামড়ানো শট অল্পের জন্য পোষ্ট ঘেঁষে বেড়িয়ে গেলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। ১৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া পূজার বা পায়ের শট ক্রসবার ঘেষে বেড়িয়ে যায়।

৩৮ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। গোলকিক থেকে বল পান স্বপ্ন রানী। তার হেডে বক্সের কাছাকাছি দুই ডিফেন্ডারের মাঝে বল পান সাগরীকা। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে আগুয়ান গোলরক্ষকের উপর দিয়ে চিপ শটে বল জালে জড়ান সাগরীকা।

ব্যবধান দ্বিগুন করতে সময় নেয়নি বাংলাদেশ ৪২ মিনিটে মুনকি আক্তারের দর্শনীয় গোলে ২-০ গোলের লিড নেয় বাংলাদেশ। বক্সের ভেতর বল ক্লিয়ার করতে এগিয়ে আসেন নেপালের গোলরক্ষক সুজাতা। তবে তার ক্লিয়ার করা বল পান ইতি খাতুন; ক্রস দেন মুনকি আক্তারকে। বুদ্বিদীপ্ত শটে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি। প্রথমার্ধে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো বাংলাদেশের। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। বক্সের ভেতর সাগরীকাকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি আফঈদা খন্দকার। তার শট পোস্টে লাগে। তবে ফিরতি বলে শট নেন সাগরিকা। তবে নেপালের গোলরক্ষক সুজাতা গ্লাভস বন্দী করেন। শেষ পর্যন্ত দুই গোলের লিড নিয়েই বিরতীতে যেতে হয় সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যদের।

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় দুই দলই। ৫২ মিনিটেই এক গোল শোধ করে ম্যাচে ঘুড়ে দাড়ানোর ইঙ্গিত দেয় নেপাল। সুকরিয়া মিয়ার গোলে ব্যবধান কমায় নেপাল। তবে লিড বাড়িয়ে নিতে খুব বেশি সময় নেয়নি বাংলাদেশ। ৫৬ মিনিটে সাগরিকার গোলে ব্যবধান ৩-১ করে সাইফুর বারী টিটুর শিষ্যরা। বাকিটা সময় দুই দলই বেশ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করলেও শেষ পর্যন্ত স্কোর লাইনে বদল আনতে পারেনি কোনও দলই।

পরের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। আজ দিনের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ১০-০ গোলে হারিয়েছে তারা।