পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বিরোধী নেতারা বলছেন, সাইফার মামলা এবং গত ৯ মে সহিংসতার মামলায় দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবং অন্যান্য শীর্ষ নেতারা দোষী সাব্যস্ত হলে পিটিআইকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। খবর জিও নিউজের

এ বিষয়ে শাহবাজ সরকারের আইন ও বিচারমন্ত্রী এবং সিনেটের প্রতিনিধি পরিষদের নেতা আজম নাজির তারার বলেছেন, পিটিআই নির্বাচন আইন-২০১৭ এর অধীনে বেশ কয়েকটি ধারা অমান্য করেছে এবং এমন অপরাধ করেছে যার ফলে দলটিল বৈধতা বাতিল হতে পারে।

তারার জানান, নির্বাচন আইন-২০১৭ এর ২১২ নম্বর অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা হয়েছে, যদি কোনো রাজনৈতিক দল দেশের বাহির থেকে বা অন্য কোনো দেশ থেকে তহবিল সংগ্রহ করে তবে সেই দল তার বৈধতা হারাবে।

এদিকে সাইফার মামলা বা রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের ব্যাপারে সূত্রের বরাতে জিও নিউজ জানিয়েছে, নির্বাচন আইন-২০১৭ এর ২০০ নম্বর অনুচ্ছেদ বলছে, কোনো রাজনৈতিক দল এমন কোনো প্রপাগান্ডা চালাবে না যা সংবিধানের মৌলিক নীতির পরিপন্থী।

প্রসঙ্গত, এর আগে পিটিআইয়ের তহবিল তদন্ত করে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) সর্বসম্মতিক্রমে ঘোষণা করেছে, পিটিআই ২০০৩ সালের আগস্টে নিষিদ্ধ তহবিল পেয়েছিল।