আমেরিকায় কিছু মসজিদে দেখা যাচ্ছে একই কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছেন নারী ও পুরুষ। আর এতে ইমামতি করছেন নারী।

দেশটিতে নারীদের ইমামতি করার প্রবণতা বাড়ছে। লস অ্যাঞ্জেলসে একটি মসজিদে পাঁচ বছর ধরে ইমামতি করছেন নারীরা।

বিষয়টি নিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর শিরোনাম “একটি শান্ত বিপ্লব: লস অ্যাঞ্জেলসে মসজিদে নেতৃত্ব দিচ্ছে ইমাম।”

প্রতিবেদনে নূর নামে এক নারী ইমামের গল্প তুলে ধরা হয়।

ইসলাম ধর্ম নামাজে নারীদের ইমামতি অনুমোদন করে না। তারপরও এমন ধরনের বিতর্কিত অনুশীলন করে যাচ্ছেন অনেকে। তাদের দাবি, চদ্দোশ বছরের পুরনো হয়ে যাওয়া একটি বিতর্কিত হাদিসে নারীদের নামাজে নেতৃত্ব দেওয়া এবং মসজিদে খুতবা দেওয়া নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। আমেরিকায় অন্তত কিছু মসজিদে নারী ও পুরুষকে একসঙ্গে নামাজ পড়তে দেখা যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, নারী ইমামরা এর পক্ষে একটি হাদিস উপস্থাপন করার চেস্টাও করেন। তারা বলছেন, হযরত মোহাম্মদ (সা.) উম্মে উরাকাকে তার নিজের বাড়িটিকে মসজিদে পরিণত করতে বলেছিলেন। তাই এই হাদিসটি নারী ইমাম হওয়ার অনুশীলনকে বৈধতা দেয়।

তবে তাদের এসব যুক্তিকে মেনে নেয়নি মুসলিম কমিউনিটি। উত্তর আমেরিকার ফিকহ কাউন্সিল (এফসিএনে) জানায়, কেবলমাত্র নারীদের জন্য মসজিদে নারীরা ইমামতি করার অনুমতি রয়েছে।

কেবল আমেরিকায় নয়, এ ধরণের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ফ্রান্সেও। ২০১৯ সালে দেশটিতে প্রথম ইভা জানাদিন, অ্যান-সোফি মনসিনে এবং কাহিনা বাহলউল প্রথম ইমামতি করেন।

বাহলউল বলেন, ‌‘নারীরা ইমামতি করতে পারে না, এই ধারণাটি এসেছে পবিত্র গ্রন্থের পুরুষতান্ত্রিক পাঠ থেকে। কুরআন একজন নারীকে ইমাম হতে নিষেধ করে না।’

এখন সময়/শামুমো