ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘ইয়ার্স’ ও কয়েক হাজার সৈন্য নিয়ে সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। এই মহড়াকে মস্কোর পারমাণবিক শক্তি প্রদর্শনের আরেকটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বুধবার (২৯ মার্চ) টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই মহড়ায় তিন হাজারেরও বেশি সামরিক কর্মী ও প্রায় ৩০০টি সামরিক অস্ত্র-সরঞ্জাম জড়িত রয়েছে।

আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল ইয়ার্সের রেঞ্জ ৭ হাজার ৫০০ মাইল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে জাপানের হিরোশিমায় মার্কিন বাহিনী লিটল বয় নামের যে পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করেছিল, ইয়ার্স কমপ্লেক্সের ক্ষমতা তার ১২ গুণ। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইয়ার্স ক্ষেপণাস্ত্রগুলো স্বাধীনভাবে পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে এবং এগুলো সহজে বহনযোগ্য।সম্প্রতি কৌশলগত পারমাণবিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা প্রস্তুত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে রাশিয়া। রুশ বাহিনী তাদের কালুগা অঞ্চলের একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে ‘ইয়ার্স’ নামের এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করে রেখেছে।

স্থলভিত্তিক ইয়ার্স ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে রুশ টপোল পদ্ধতির ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতিস্থাপন হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, অপ্রতিরোধ্য রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে এটিকে তৈরি করতে চান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া কয়েকবার সামরিক মহড়া চালিয়েছে। কখনও এককভাবে, কখনও চীন বা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সম্মিলিতভাবে মহড়া চালিয়ছে মস্কো। সম্প্রতি জাপান সাগরের দিকে সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও চালিয়েছে রুশ নৌবাহিনী।

রাকিব/এখন সময়