পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সোমবার এক চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করে মামলা দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করেন ওই চীনা নাগরিক।

পাকিস্তানের খাইবারপাখতুনখোয়া প্রদেশে দাসু বাঁধ অবস্থিত। সেখানে কর্মরত চীনা নাগরিক তিয়ান রবিবার ‘রোজা রাখায় কাজের গতি ধীর’ হয়- এ মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ সেখানে কর্মরত পাকিস্তানি শ্রমিকদের। এ ছাড়া হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও ধর্মের অবমাননা করেও তিয়ান কথা বলেন বলে অভিযোগ তাদের। তিয়ানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রবিবার একটি মহাসড়ক বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। সেই সঙ্গে তিয়ান থানায় লুকিয়ে থাকতে পারেন এই সন্দেহে কয়েক শ শ্রমিক স্থানীয় থানায় জোর করে ঢুকে পড়েছিলেন।

এএফপিকে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা নাসির-উদ-দীন খান জানান, ‘তিয়ানের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মামলা হয়েছে, সেই কাগজ দেখানোর পর শ্রমিকরা শান্ত হন।’ জনগণ তিয়ানের ওপর হামলা করতে পারে এই আশঙ্কায় তাকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তকারীরা যদি প্রমাণ করতে পারেন যে তিয়ান ইসলামকে অবমাননা করেছেন, তাহলে ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননা আইনে তার বিচার করা হবে। পাকিস্তানি আইনে ধর্ম অবমাননার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তবে এই আইনে কারো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি। তবে অভিযুক্তদের ওপর হামলা ও তাদের পিটিয়ে মারার মতো ঘটনা ঘটেছে।

২০২১ সালে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ছবি সংবলিত একটি পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগে শ্রীলঙ্কার এক ফ্যাক্টরি ম্যানেজারকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছিল জনগণ। মানবাধিকারকর্মীরা মনে করেন, ব্যক্তিগত বিবাদ মেটাতে এবং সংখ্যালঘুদের ভয় দেখাতে ব্লাসফেমি আইনের আশ্রয় নেওয়া হয়ে থাকে। গত সপ্তাহে নিজেকে ইসলামের নবী দাবি করা এক মুসলিম নারীকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাকিব/এখন সময়