চীন ও হন্ডুরাস রবিবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে বলে জানিয়েছে চীনা গণমাধ্যম। স্থানীয় ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, শনিবার তাইওয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হন্ডুরাস তাদের কয়েক দশকের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার একদিন পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং এবং তার হন্ডুরান সমকক্ষ এডুয়ার্ডো এনরিক রেইনা বেইজিংয়ে রবিবার কূটনৈতিক স্বীকৃতির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর মাধ্যমে চল্লিশের দশকে শুরু হওয়া তাইওয়ানের সঙ্গে হন্ডুরাসের সম্পর্ক শেষ হয়। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক শুরুর জন্য হন্ডুরান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চীন সফরের কয়েকদিন পর এই বহু-প্রত্যাশিত পদক্ষেপ এলো। শনিবার একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে হন্ডুরান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনকে ‘একমাত্র বৈধ সরকার’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা ‘সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্ব করে’। সেই সঙ্গে তাইওয়ান চীনা ভূখণ্ডের একটি ‘অবিভাজ্য’ অংশ বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। চীনও তাইওয়ানকে তাদের নিজস্ব ভূখণ্ড বলে দাবি করে।

এদিকে তাইওয়ান একটি তীক্ষ্ণ প্রতিক্রিয়ায় বেইজিংয়ের প্রতি প্রলুব্ধ হওয়ার আগে হন্ডুরাসের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করার অভিযোগ করেছে। তাইপেইতে বক্তৃতায় তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ দাবি করেছেন, শত শত লোক একটি হাসপাতাল ও একটি বাঁধ নির্মাণ এবং ঋণ পরিশোধসহ মোট ২.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য চেয়েছিল।

একটি ভিডিও বিবৃতিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেছেন, তাইপেই ‘অনর্থক ডলার কূটনীতিতে চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না।’ চীন এবং হন্ডুরাস—দুই দেশই তাদের নিজ নিজ বিবৃতিতে তাইওয়ানের করা অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

হন্ডুরান পদক্ষেপকে একটি ‘সার্বভৌম সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ‘এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে চীন প্রায়শই কূটনৈতিক স্বীকৃতির বিনিময়ে প্রতিশ্রুতি দেয়, যা শেষ পর্যন্ত অপূর্ণ থেকে যায়।’ বর্তমানে তাইওয়ানের মাত্র ১৩টি দেশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, যার বেশিরভাগই মধ্য আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের।

রাকিব/এখন সময়