সিলেটে রোববার দিবাগত রাত থেকে শুরু হওয়া ভারি বৃষ্টিপাত সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালেও অব্যাহত ছিল। এতে নগর জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র জলাবদ্ধতা। ফলে দুর্ভোগে পরেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরীর কোথাও গোড়ালি, কোথাও হাঁটু পর্যন্ত পানি জমেছে। পাঠানটুলা, চন্ডিপুল-পুলেরমুখের বঙ্গবীর রোড, চৌহাট্টা-নয়াসড়ক, রাজারগলি, পায়রা, বাদাম বাগিচা, খাসদবীরসহ বিভিন্ন এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানেও পানি প্রবেশ করেছে।

টানা বৃষ্টিতে নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ও এলাকাবাসী দোষারোপ করছেন নগর কর্তৃপক্ষকে। তারা এই জলাবদ্ধতার জন্য সিটি কর্পোরেশনের উদাসীনতাকে দায়ী বলে মনে করছেন। অনেকে বলছেন, ড্রেনেজ সিস্টেম যদি সঠিক সময় সংস্কার করে রাখা হতো, তাহলে এই ভোগান্তি জনগণকে পোহাতে হতো না। বার বার এই ভোগান্তির পর সিসিকের টনক না নড়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এক স্কুল শিক্ষিকা বলেন, পাঠানটুলা এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে আটকা পড়েছিল আমাদের বহনকারী সিএনজি। বিকল্প পথে এগিয়ে গেলেও খাসদবির এলাকায় আবারো আটকে যায় গাড়ি। দীর্ঘ বিড়ম্বনা শেষে বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে পেরেছি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট নগরীর অধিকাংশ ড্রেনের কাজ চলছে ধীরগতিতে। তাই বৃষ্টি হলেই পানি নামতে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া অনেক নালা, নর্দমা ও ছড়া ভরাট হয়ে গেছে। ফলে বৃষ্টির পানি সহজে নামতে পারছে না।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাইদ চৌধুরী বলেন, সোমবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ১০৮.২ মিলিমিটার। রোববার মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৩.৫ মিলিমিটার। এর আগের দিন ছিল ১১৬.২ মিলিমিটার। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আগামীকাল থেকে কমে আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাকিব/এখন সময়