তখন ভারত-পাকিস্তানের মাঝে রাজনৈতিক সম্পর্ক এতটা খারাপ ছিল না। তাই ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম আসরে দেখা গিয়েছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছিলেন স্পিডস্টার শোয়েব আখতার। মোট ১১জন পাকিস্তানি ক্রিকেটার খেলেছিলেন আইপিএলে।

কিন্তু সেবারের পর আর কোনো আসরে দেখা যায়নি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের।
নিলামে অন্যতম দামি ক্রিকেটার হিসাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন শোয়েব। আইপিএলে অংশ নেওয়ার সময় তিনি নিষিদ্ধ ছিলেন। তাই আইপিএলের ৩৫ তম ম্যাচে তিনি মাঠে নামার সুযোগ পান। সেই মাঠে নামাও সহজ ছিল না। সেই সময় তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন নাইট অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। পুরনো দিনের সেসব স্মৃতি এবার নিজেই প্রকাশ করলেন শোয়েব।

দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে থাকায় তাকে একাদশে নিতে রাজি ছিলেন না কোচ। ‘স্পোর্টসক্রীড়া’য় এক কলামে শোয়েব লিখেছেন, ‘নাইট রাইডার্স ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার সময় নিষিদ্ধ ছিলাম। জন বুকানন সৌরভকে বলেছিলেন, আমি খেলার জন্য ম্যাচ ফিট নই। যার জবাবে সৌরভ বলেছিল, “শোয়েবকে নিয়ে বেশি চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। সে অর্ধেক ফিট হলেও সমস্যা নেই। “‘

ঘটনাচক্রে, শোয়েব নির্বাসন কাটিয়ে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই আগুন ঝরা বোলিংয়ে ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। তার বোলিং ফিগারও ছিল রেকর্ডে মোড়া। ক্রিকেট ইতিহাসে দ্রুততম বোলার শোয়েব সেই আইপিএলে মাত্র ৩টি ম্যাচ খেলেন। তবে পরের দুই ম্যাচে আর আগুন ঝরাতে পারেননি। ৩ ম্যাচে মোট ৫ উইকেট নিয়েই শেষ হয় তার আইপিএল ক্যারিয়ার।