জামাল খাশোগি হত্যার পর বিপাকে পড়েছিলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তার আদেশেই খাশোগিকে হত্যা করা হয় বলে বিভিন্ন তদন্তে বেরিয়ে আসে। এমনকি মার্কিন গোয়েন্দাদের প্রতিবেদনেও বিষয়টি স্পস্ট ছিলো।

ওই সময় যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মেয়েজামাই ইহুদি ধর্মাবলম্বী জ্যারেড কুশনার তখন হোয়াইট হাউসের উপদেস্টা। আর মধ্যপ্রাচ্যে কুশনারের সঙ্গে দহরম-মহরম এমবিএসের।

মোহাম্মদ বিন সালমানের ওই বিপদের সময় এগিয়ে এসেছিলেন কুশনার। জামাল খাশোগি হত্যার দায় থেকে এমবিএসকে তিনিই রক্ষা করেন।

এরপর থেকে নানাভাবে বন্ধুত্বের প্রতিদান দিয়ে আসছেন যুবরাজ। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, কুশনারের একটি ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। খবর প্রকাশ হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে বিষয়টি নিয়ে কৌতুহল দেখা দিয়েছে। ইহুদি কুশনারের সঙ্গে সৌদির ব্যবসা করা কতটা নৈতিক হবে তা নিয়েও চলছে আলোচনা।

কুশনার তার একটি নতুন উদ্যোগের জন্য উপসাগরীয় অঞ্চলে বিনিয়োগ খুঁজছিলেন বলেও জানায় সংবাদমাধ্যমটি। তিনি কাতার ও আরব আমিরাতের কাছেও প্রস্তাব দেন। তবে ব্যবসায় তার দুর্বল অতীতকে সামনে এনে এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় দেশ দু’টি।

অন্যদিকে সৌদি আরব এই প্রস্তাব গ্রহণ করে সাড়ে চারশো মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনো কোনো চুক্তি করা হয়নি।

জ্যারেড কুশনার ট্রাম্প প্রেসিডেন্সির সময় চার বছর হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে টেকসই সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ট্রাম্পের উপদেষ্টা থাকার সময় কুশনার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তখন কুশনারের অনেক ব্যবসায়িক প্রস্তাব গ্রহণ করেনি কাতার। এতে দেশটির সঙ্গে বৈরি আচরণ করতে থাকেন ট্রাম্প।

এখন সময়/শামুমো