আমাদের খাদ্যভাস, জীবনাচার আর উচ্চরক্তচাপ, ডায়বেটিকের জন্য কিডনি ফেইল রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিডনি চিকিৎসা ব্যয়বহুল বলা হয়ে থাকে কিন্তু আদতে কিডনির চিকিৎসা আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় নেই, ডায়ালাইসিস বা ট্রান্সপ্লান্ট বলে যা করা হয় তা হলে জোড়াতালি।
পরিসংখ্যান যা বলে : আমাদের দেশে সাধারণত যত কিডনি ফেইলিওর আছে তার মাত্র ২০ শতাংশ রোগী ডায়ালাইসিস পায় বা নিতে পারে। তার মধ্যে ৫০-৬০ শতাংশ ছয় মাসের পরে আর কন্টিনিউ করতে পারে না। এবং এই রোগীদের মধ্যে ৫ শতাংশ বা তারও কম কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট নিতে পারে। আমাদের দেশে ডায়ালাইসিস অনেক ব্যয়বহুল চিকিৎসা। এর জন্য সরকারি পর্যায়ে ভর্তুকি নেই। ফলে খরচের শতভাগ রোগীদের বহন করতে হয়।
প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের অভাব হয়না কিন্তু ডায়ালাইসিস করার সুবিধা সরকার করতে পারে না। এই জন্যই বুঝতে হবে আমরা কেমন রাস্ট্র বানিয়েছি !
যারা অ্যাফোর্ড করতে পারে না তাদের ভিটামাটি বিক্রি করতে হয়, কারো সাহায্য নিতে হয়। এভাবে ছয় মাস থেকে এক বছর পরে ৫০-৬০ শতাংশ রোগী আর ডায়ালাইসিস চালিয়ে যেতে পারে না, আর এর খারাপ বিষয় আরও আছে, আমাদের দেশে রোগীদের কারো অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা হয় অথবা যেসব রোগী ঠিকমতো ডায়ালাইসিস নিচ্ছে না বা নিতে পারছে না অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য সেসব ক্ষেত্রে দেখা যায় হার্টফেল বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বেশি হয়।
এমন বিপদে যদি না পরতে চান তাহলে কি করবেন ?
প্রথমে লবণাক্ত, তৈলাক্ত খাবার পরিহার করুন, প্রাকৃতিক নিয়মে উচ্চরক্তচাপ, ডায়বেটিকস নিয়ন্ত্রণ করুন!
প্রাকৃতিক নিয়ম কি : প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় সবুজ শাক রাখুন এবং সালাদ খাওয়ার অভ্যাস করুন।
দ্বিতীয়ত সকালে খালি পায়ে মাটিতে হাঁটার অভ্যাস করুন। একমাস করে দেখুন, শরীরে কি কি পরিবর্তন আসবে তা দেখে নিজেই আশ্চর্য হবেন।