১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি থেকে শুরু। এরপর ২৫ বছর ধরে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে নিয়মিত খেলছে বাংলাদেশ। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১১৮ ম্যাচ। এত বেশি ম্যাচ আর কোনো দলের বিপক্ষে খেলেনি বাংলাদেশ। কিন্তু কোনো বিশ্বকাপে এই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে দল দুটি। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে রোববার (৩০ অক্টোবর) মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় ব্রিসবেনের ঐতিহাসিক গ্যাবায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।

তার আগে সংবাদ সম্মেলনে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন বললেন, ছেলেরা অনেক খুশি এবং আত্মবিশ্বাসী। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ে আমরা অনেক আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। তবে আমরা জানি, এই খেলাটি কত দ্রুত রূপ বদলায়। আমার মনে হয় প্রতি ম্যাচেই আমাদের দারুণ সুযোগ রয়েছে। আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এমন একটি খেলা, যেখানে কয়েকজন ক্রিকেটার নিজেদের মেলে ধরলেই যে কোনো দলকে হারানো সম্ভব। আমরা জানি, বাংলাদেশ মানসম্পন্ন দল। তাদের বিপক্ষে আগামীকাল আমাদের সেরা খেলাটাই খেলব।

অন্যদিকে ডাচদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণ করে। ব্যাটসম্যানরা ছিলেন এলোমেলো, দিশাহীন। সবমিলিয়ে ১০৩ রানের বড় হার। এবার সামনে জিম্বাবুয়ে। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে সিকান্দার রাজাদের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প নেই।

তবে তাদের সমীহ করছে বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরাম, আমরা জিম্বাবুয়েকে সমীহ করছি। তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। ঐ ম্যাচের প্রতিটি বল দেখেছি। যেভাবে তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলল এটা অবিশ্বাস্য। পুরো কৃতিত্ব তাদের দিতে হবে, পুরো সম্মানও।

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ১৯ বার মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে ১২ বার জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর বাকি ৭ ম্যাচে জিম্বাবুয়ে। সবশেষ নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জেতে জিম্বাবুয়ে।

রাকিব/এখন সময়