পিএসজি প্রাক-মৌসুমের জাপান সফরের দল থেকে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে বাদ দিয়েছে। তবে এ ব্যাপারটি ভালো নজরে দেখছে না ফ্রান্সের ন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ প্রফেশনাল ফুটবলার্স (ইউএনএফপি)। সংস্থাটি পিএসজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। খবর রয়টার্সের।

সম্প্রতি পিএসজি ছেড়ে এমবাপ্পের রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়া নিয়ে গুঞ্জনও চলছে। এরইমধ্যে ফরাসি ক্লাব থেকে আবার এই তারকা ফরোয়ার্ডের জন্য বিশাল অংকের প্রস্তাবের খবরও সামনে এসেছে। তবে তারকা এ ফরোয়ার্ডের সঙ্গে পিএসজির সম্পর্কের অবনতি ক্রমে ফুটে উঠছে।

সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটির সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে রাজি নন ২৪ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ক্লাব ছাড়ার জন্য ফরাসি ক্লাবকে চিঠি দিয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার। জানিয়ে দিয়েছেন আরেক মৌসুম পিএসজিতে খেলার পর ক্লাব ছেড়ে চলে যাবেন ফ্রিতে। তবে আরেক মৌসুম পিএসজিতে থাকলে মোটা অংকের বোনাস পাবেন তিনি। কিন্তু পিএসজির সভাপতি নাসের আল-খেলাইফি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এত বড় তারকাকে কোনোভাবেই বিনামূ্ল্যে ছেড়ে দেবেন না তারা।

পিএসজি চায় না এমবাপ্পেকে ফ্রিতে ছাড়তে তাই, এমবাপ্পের কাছে আল্টিমেটাম দিয়েছে পিএসজি হয় নতুন চুক্তি সই কর, না হলে ক্লাব ছাড়ো। নতুন চুক্তি সই করার জন্য তাকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ১৫ জুলাই পর্যন্ত। এখন ফরাসি সংবাদমাধ্যমের খবর, এমবাপেকে বিক্রি করে দিতে চায় পিএসজি। এশিয়া সফর থেকে তাকে বাইরে রাখাকে মনে করা হচ্ছে এই প্রক্রিয়ারই অংশ।

ইউএনএফপি এসব ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষিতেই শনিবার দীর্ঘ এক বিবৃতিতে পিএসজিক সতর্ক করে দেয়। তারা জানায়, ‘অন্য সব পেশাদার কর্মীদলের মতো সব খেলোয়াড়েরও একইরকম কাজের পরিবেশ প্রাপ্য। ইউএনএফপি অনুভব করছে, সব ম্যানেজারকে এটা মনে করিয়ে দিতে হবে যে, কাজের পরিবেশকে বাধাগ্রস্থ করে কোনো কর্মীকে চাপে রাখা- উদাহরণস্বরূপ, নিয়োগ কর্তার চাওয়া অনুযায়ী কর্মীকে কোনো কিছুতে রাজি হতে বা ছাড়তে বাধ্য করা- এসব কাজ নৈতিক হয়রানির মধ্যে পড়ে এবং ফরাসি আইনে তা গভীরভাবে নিন্দনীয়।’

‘কাজেই, হ্যাঁ, কোনো ক্লাব এই ধরনের আচরণ করলে, ইউএনএফপির অধিকার আছে তাদের বিরুন্ধে নাগরিক ও ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার।’