চীনের সামরিক হুমকি উপেক্ষা করে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। আর এরপরই ভূখণ্ডটি নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব রূপ নেয় নতুন মাত্রায়। পেলোসির সেই সফরের পর দুই সপ্তাহ পার না হতেই এবার তাইওয়ান সফরে গেছেন মার্কিন আইনপ্রণেতাদের একটি প্রতিনিধি দল। পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল চীন। ওই সময় তাইওয়ানকে হুমকি দিতে সামরিক মহড়া চালিয়েছিল বেইজিং। নতুন করে মার্কিন কংগ্রেসের এই সফরে চীন আরও ক্ষুব্ধ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রোববার (১৪ আগস্ট) দুই দিনের সফরে ভূখণ্ডটিতে পৌঁছান তারা। সোমবার (১৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন আইনপ্রণেতাদের একটি প্রতিনিধি দল দু’দিনের সফরে রোববার তাইওয়ানে পৌঁছেছেন। সেখানে তারা স্ব-শাসিত এই দ্বীপটির প্রেসিডেন্ট সাই ​​ইং-ওয়েনের সাথে দেখা করবেন। অবশ্য গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে নিজস্ব অঞ্চল বলে দাবি করে থাকে বেইজিং। চলতি আগস্ট মাসের শুরুতে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের পর দ্বীপের চারপাশে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালিয়েছে দেশটি।

তাইপেইতে ডি ফ্যাক্টো মার্কিন দূতাবাস বলেছে, মার্কিন এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিনেটর এড মার্কি। তার সাথে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাউসের আরও চার আইনপ্রণেতা। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আরও বৃহত্তর সফরের অংশ হিসাবেই এই আইনপ্রণেতারা ভূখণ্ডটিতে সফরে এসেছেন।

গতকাল রবিবার তাইওয়ান প্রণালী এবং এর আশেপাশে ২২টি চীনা বিমান এবং ছয়টি নৌ জাহাজ শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে তাইপে। মহড়ার মাধ্যমে চীন এই অঞ্চলের স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করছে তাইওয়ান।

রাকিব/এখন সময়