বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে জয়ী হয়েছে। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮.২ ওভারে ৮৪ রানে অলআউটের লজ্জার রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ দল। মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ৩৯ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পায় প্রোটিয়ারা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে আরও একটি লজ্জার রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ দল। সপ্তম আসরের ৩০তম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮.২ ওভারে ৮৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগাদের এটা তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ ভারতের কলকাতায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫.৪ ওভারে ৭০ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ।

তারও আগে ২০০৭ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৫.৫ ওভারে ৮৩ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।

মঙ্গলবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা পেসার কাগিসো রাবাদার গতির মুখে পড়ে একে একে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম। প্রথম ৩ ওভারে ১৪ রানে টাইগারদের প্রথম সারির ৩ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রাবাদা।

এরপর বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত হানেন পেসার আনরিচ নর্টজে। তার শিকার হয়ে ফেরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

১২তম ওভারে প্রথম বোলিংয়ে এসে টাইগার শিবিরে আঘাত হানেন প্রোটিয়া লেগ স্পিনার তাবরিজ শামসি। তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস। দলীয় ৪৫ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ৩৬ বলে ২৪ রান করেন লিটন।

এরপর ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শামসির শিকার হন শামিম হোসেন। বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন সাকিবের পরিবর্তে বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া এই তরুণ ব্যাটার। দলীয় ৬৪ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ২০ বলে ১১ রান করার ‍সুযোগ পান শামিম।

১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রান আউট হয়ে ফেরেন পেসার তাসকিন আহমেদ। তার বিদায়ে ৭৭ রানে অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

ইনিংসের শেষ দিকে স্কোর মোটাতাজা করায় ব্যস্ত থাকা মেহেদি হাসানকে আউট করেন আনরিচ নর্টজে। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নাসুম আহমেদকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিনত করেন নর্টজে।

৮৫ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তাসকিন আহমেদের গতির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার রেজা হেনরিক্স।

পঞ্চম ওভারে দলীয় ২৮ রানে প্রোটিয় আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কককে আউট করেন মেহেদি হাসান। তার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৫ বলে ১৬ রান করার সুযোগ পান এ তারকা ওপেনার।

৫.৫ ওভারে দলীয় ৩৩ রানে এইডেন মার্কওরামকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন তাসকিন আহমেদ। এরপর অধিনায়ক টিম্বা বাভুমার সঙ্গে ৪৩ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান রিশি ভেন দার ডুসেন।

জয় থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থাকতেই সাজঘরে ফেরেন রিশি। তার আগে ২৭ বলে করেন ২২ রান। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ চাড়েন বাভুমা। ২৮ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন বাভুমা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ১৮.২ ওভারে ৮৪/১০ রান (মেহেদি হাসান ২৭, লিটন দাস ২৪, শামিম হোসেন ১১; কাগিসো রাবাদা ৩/২০, আনরিচ নর্টজে ৩/৮, তাবরিজ শামসি ২/২১)।

দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৩.৩ ওভারে ৮৬/৪ রান (টিম্বা বাভুমা ৩১*, রিশি ভেন দার ডুসেন ২২, কুইন্ডন ডি কক ১৬; তাসকিন আহমেদ ২/১৮, মেহেদি হাসান ১/১৯, নাসুম আহমেদ ১/২২)।

এখন সময়/শামুমো