আত্মসমর্পণ করার সুযোগ না দিয়েই গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্পকে। তবে গ্রেফতারের কিছুক্ষণ পরেই তিনি ছাড়া পেয়ে যান। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ওঠা ৩৪টি অভিযোগে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

আদালতে থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি ট্রাম্প। তবে পরে ফ্লোরিডায় নিজের বাড়িতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটাকে নরকে নিয়ে যাচ্ছেন। গোটা দুনিয়া আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসছে। জীবনে কখনও ভাবিনি যুক্তরাষ্ট্রে এ জিনিস হবে। দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য সাহস দেখিয়েছিলাম। যা হয়েছে তা পুরো দেশের জন্য অপমান।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার কোনো সন্দেহ নেই যে, আমাদের প্রিয় দেশটির ওপর কালো মেঘ ভর করেছে। তবুও আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে আবার মহান করে তুলব।’ অভিযোগ তুলে তিনি আরো বলেন, ‘২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেন লড়াই করতে না পারি সে ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। এসব ভুয়া মামলা করা হয়েছে শুধুমাত্র ২০২৪ সালের ভোটকে প্রভাবিত করতে। ’অন্যদিকে, ট্রাম্পের আইনজীবী বলেন, অত্যন্ত অপমানজনক বিষয় হলো জেলে যাওয়া। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করব। আদালতে শুনানি শেষে তিনি বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন এখন মৃত।’

টাকা দিয়ে এক পর্ন তারকার মুখ বন্ধ রাখার অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্টকে ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হতে হল। গতকাল শুনানির পর আদালত থেকে বেরিয়ে নিজের বোয়িং ৫৭৫ জেটে ফ্লোরিডায় ফিরে যান।

সোমবার মামলার শুনানিতে রবার্ট কাস্টেলো নামে এক সাক্ষী আদালতে বলেন, ট্রাম্পের ফিক্সার মাইকেল কোহেন, স্টরমি ড্যানিয়েলসকে ওই ঘুষের টাকা দিয়েছেন। অন্যদিকে, পর্ন তারকা স্টরমি ড্যানিয়েল দাবি করেছেন তার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের প্রাক্তন আইনজীবী মাইকেল কোহেন তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দেন। তবে বিষয়টি বারবার অস্বীকার করছিলেন ট্রাম্প।