শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) জন্য স্বস্তির খবর। আড়াই মাস পর লঙ্কান বোর্ডের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে আইসিসি। সদস্য হিসেবে নিয়ম ভাঙা, বিশেষ করে সরকারি হস্তক্ষেপের প্রভাবমুক্ত হয়ে কার্যক্রম চালাতে ব্যর্থ হওয়ায় গত নভেম্বরে এসএলসিকে নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি।

আজ রোববার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইসিসি বোর্ড অবিলম্বে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে তাদের বোর্ড। এখন আর সদস্যপদের কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করছে না এসএলসি, সে ব্যাপারে আইসিসির বোর্ড সন্তুষ্ট হয়েছে।

গত ১০ নভেম্বর এসএলসিকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আইসিসি। এরপর গত ২১ নভেম্বর আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আইসিসি ইভেন্ট ও দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে পারবে লঙ্কানরা। তবে, ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়া হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়।

এর আগে নভেম্বরের শুরুতে বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় পুরো ক্রিকেট বোর্ডকেই বরখাস্ত করেন শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রী রোশান রামানসিংহে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জয়ী শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যান করার কথাও জানান তিনি। সাত সদস্যের নতুন প্যানেলে যুক্ত করা হয় সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সাবেক এক বোর্ড সভাপতিকেও। তবে দেশটির আদালত অন্তর্বর্তী কমিটির সিদ্ধান্ত আবার স্থগিত করে দেয়। সরকারি হস্তক্ষেপের প্রভাব ক্রিকেট বোর্ডে পড়ায় কঠোর হয় আইসিসি।

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচিত কোন ক্রিকেট বোর্ডকে সরকারি হস্তক্ষেপ করা যায় না। শ্রীলঙ্কার মতো সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে ২০১৯ সালে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সদস্যপদ স্থগিত করেছিল আইসিসি। জিম্বাবুয়ের প্রেক্ষাপট অবশ্য ভিন্ন ছিল। সেখানে দেশের সব ক্রিকেট কার্যক্রম হুট করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।