দেশে দুর্ভিক্ষ হলে সব দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে দুর্ভিক্ষ হলে মানুষ কোথায় যাবে? দেশে দুর্ভিক্ষ হলে সব দায় শেখ হাসিনার। ১৯৭৪ সালেও শেখ হাসিনার বাবার আমলেও দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। আমরা দুর্ভিক্ষ আসার আগেই শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাব।

মির্জা ফখরুল বলেছেন, অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশের মধ্য দিয়ে মাঠে নেমেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ দেশে যেকোনো নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি অংশ নেবে না। শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে রংপুরের ঐতিহাসিক কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে দলটির বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার সব খেয়ে ফেলেছে, কিছু বাকি রাখেনি। ১৫ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, আমাদের যত অর্জন ছিল, যত স্বপ্ন ছিল, সব ধ্বংস করা হয়েছে। যেদিকে তাকাই শুধু চুরি আর চুরি। রাস্তাঘাট, ব্রিজ করতেও চুরি হয়। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা এমনকি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নিতেও টাকা দিতে হয়। এই সরকার সব খেয়ে ফেলেছে কিছু বাকি রাখেনি। এই সরকার সর্বভুক সরকারে পরিণত হয়েছে।

বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার নাকি জনগণকে ভয় পায় না, তাহলে দুই দিন আগে গাড়ি বন্ধ করল কেন? বাংলাদেশের মানুষ অবশ্যই জেগে উঠবে এবং এই ভয়াবহ এক নায়ক হাসিনা সরকারের পতন ঘটাবে। এই সমাবেশের একটাই কারণ। একজন মাত্র ব্যক্তি একটা মাত্র দল গত ১৫ বছর ধরে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্যাতন করছে। বিএনপির ওপর নির্যাতন করছে। আমাদের সমস্ত দেশটাকে তারা কুড়ে কুড়ে খেয়ে ফেলছে।

গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরেও বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশে উপস্থিত হওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘটের পরেও পায়ে হেঁটে ও বিভিন্ন উপায়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে এসেছেন। অনেকে একদিন আগেই রংপুরে এসেছেন। এজন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সেই সঙ্গে ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামছুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ।

রাকিব/এখন সময়