জ্বালানির দাম সমন্বয়ে সরকার নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘তিন মাস পর পর জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের কথা ভাবছে সরকার। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম খোলাবাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ দাম সমন্বয় হবে। আমরা এখন এলপিজির দাম প্রতি মাসে সমন্বয় করি। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টারপ্ল্যানের তৃতীয় স্টেকহোল্ডার সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, মূল্য সমন্বয় অনেকাংশে নির্ভর করে বিশ্ববাজারের ওপর। কেননা আমাদের জ্বালানি আমদানিও করতে হয়। নিজস্ব গ্যাসের সক্ষমতা সর্বোচ্চ পরিমাণে বাড়ানোর চেষ্টা আমরা করছি। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দামের বিষয়টি বিইআরসির ওপর নির্ভর করবে। তারা যদি বিবেচনা করে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন নেই, তাহলে বাড়বে না।

অনুষ্ঠানে মিশ্র জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়ে ২০৩০ সালের আগে নতুন কোনো পরিকল্পনা নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যেসব প্রকল্প চলমান তা শেষ হওয়ার পর নতুন কিছু নিয়ে পরিকল্পনা করা যাবে। ’

তিনি বলেন, ২০৩০ সালের পর হাইড্রোজেন, ক্ষুদ্র রিয়াক্টরে পরমাণু বিদ্যুৎ, কার্বন ক্যাপচারসহ বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। উন্নত অনেক দেশ কয়লা থেকে সরে ক্লিন এনার্জির দিকে যাচ্ছে। তবে সেটি এখনই বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়।

ভর্তুকি কমানোর ক্ষেত্রে গ্রাহকের ওপর চাপ বাড়ানো হবে, নাকি সিস্টেমের ত্রুটি ঠিক করা হবে―সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যা কিছু করা হচ্ছে ভোক্তার কথা চিন্তা করেই করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করা হচ্ছে, কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি দেশে শিল্প বিপ্লব হতে যাচ্ছে। আগামীতে প্রচুর কাজ আসার সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশে।

অনুষ্ঠানে মাস্টারপ্ল্যান উপস্থাপন করে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

রাকিব/এখন সময়