দারুণ খেলেও পারলো না সেনেগাল। ৮৪ মিনিট ও যোগ করা সময়ে গোল দিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নেদারল্যান্ডস। অথচ পুরো ম্যাচ জুড়েই দুর্দান্ত খেলে সেনেগাল। তাদের আক্রমণেও ধার ছিল বেশি। মোট ১৯টি শট নেয় আফ্রিকান দেশটি। অন টার্গেট ছিল ৪টি। কিন্তু একটিও গোল হলো না। মানে বিহীন সেনেগাল ভুগেছে একজন ফিনিশারের অভাবে। অন্যদিকে ১৩টি আক্রমণ করে নেদারল্যান্ডস। তার মধ্যে দুটিই গোল। বল দখলের লড়াইয়ে অবশ্য এগিয়ে ছিল নেদারল্যান্ডস। ম্যাচের ৫৪ শতাংশ বল ছিল তাদের পায়ে।

শেষ মুহুর্তে সেনেগালের জালে আরও এক গোল! গোল খাওয়ার পর বেশ কয়েকবার আক্রমণের চেষ্টা চালায় সেনেগাল। কিন্তু ব্যর্থ হয়। যোগ করা সময়ের ৯ মিনিটে গোল দিয়ে বসে ডাচরা। মাঝমাঠ থেকে ডি বক্সের আগে বল পান ক্লাসেন। একজনকে কাটিয়ে ডি বক্সে ডুকে কোনাকুনি শটে লক্ষ্য ভেদ করেন তিনি।

৮২ মিনিটে গোলের চেষ্টা চালায় সেনেগালের ইসমালিয়া। কিন্তু উলটো ২ মিনিট পর গোল দিয়ে বসে নেদারল্যান্ডস। ৭৩ মিনিটে আবার সেনেগালের গানা আক্রমণের চেষ্টা চালান। ৬৫ মিনিটে আবার দিয়া আক্রমণের সুযোগ পান। এবারও কাজে লাগাতে পারেননি। ৫৮ মিনিটে আবার সেনেগালের ক্রেপিন আক্রমণের চেষ্টা চালান। বিরতির পর ৮ম মিনিটে এসে গোলের সুযোগ পায় সেনেগাল। কিন্তু সাবালি গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।

সেনেগালের গর্জন থামিয়ে ৮৪ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের গোল। ডি বক্সে ডি জংয়ের পাস পেয়ে মিস করেননি কডি গাকপো। কোনাকুনি দারুণ হেডে গোল বহুল কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দেন দলকে। এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস।

যোগ করা সময়ের ৯ মিনিটে আবার গোল। এবার ক্লাসেন। ডিপাইয়ের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে গোল বাঁচালেও বল ধরে রাখতে পারেননি সেনেগালের গোলরক্ষক মদি। ফিরতি শটে গোল দিতে ভুল করেননি বদলি নামা ক্লাসেন। ৭৯তম মিনিটে মাঠে আসেন তিনি। এরপরেই বাজিমাত।

অথচ পুরো ম্যাচ জুড়েই দুর্দান্ত খেলে সেনেগাল। তাদের আক্রমণেও ধার ছিল বেশি। মোট ১৯টি শট নেয় আফ্রিকান দেশটি। অন টার্গেট ছিল ৪টি। কিন্তু একটিও গোল হলো না। মানে বিহীন সেনেগাল ভুগেছে একজন ফিনিশারের অভাবে। অন্যদিকে ১৩টি আক্রমণ করে নেদারল্যান্ডস। তার মধ্যে দুটিই গোল। বল দখলের লড়াইয়ে অবশ্য এগিয়ে ছিল নেদারল্যান্ডস। ম্যাচের ৫৪ শতাংশ বল ছিল তাদের পায়ে।

রাকিব/এখন সময়