কনজারভেটিভ পার্টির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস (৪৭) অথবা সেই দলের সাবেক চ্যান্সেলর রিশি সুনাক (৪২) দু’জনের মধ্যে কে যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন, তা জানা যাবে আজ সোমবার সন্ধ্যায়।

দলের নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রচারের সময় এই দুজন তাদের কিছু পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন। লিজ ট্রাস বলেছেন, তিনি এপ্রিলে কার্যকর হওয়া ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের উত্থান ঠেকাবেন এবং জরুরি বাজেট ঘোষণা করবেন। কোনো নতুন কর আরোপ না করার এবং চলতি বছর কর্পোরেট কর বাড়ানোর পরিকল্পনা বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তিনি। সামাজিক এবং সবুজ প্রকল্পগুলির জন্য অর্থ আদায়ে বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে যে ‘সবুজ কর’ যুক্ত করা হয়েছিল তা বাতিলের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। এছাড়া কোনো সমস্যা দেখা না দিলে ট্রাস সরকারি ব্যয় কমানো হবে না বলে জানিয়েছেন।

চূড়ান্ত এই দুই প্রার্থী ২৮ জুলাই থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে সারা দেশে দলের সদস্যদের তাদের সমর্থন করার জন্য প্রচার চালিয়েছেন। কনজারভেটিভ পার্টির ঠিক কতজন সমর্থক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্যায়ে ভোট দেওয়ার যোগ্য ছিল তা প্রকাশ করা হয়নি। তবে এই সংখ্যা এক লাখ ৬০ হাজারের বেশি ছিল।

পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটপর্ব শেষ হয়েছে বেশ আগেই; এবং চুড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেছে— সুনাক ১৩৭ ভোট পেয়েছেন, ট্রাস পেয়েছেন ১১৩ ভোট। পার্লামেন্টের বাইরে সরকারি দলের যেসব ভোটার আছেন, তাদের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে গত শুক্রবার। এই ভোটারদের মোট সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ। তাদের ভোটের ওপরই এখন নির্ভর করছে, কে হবেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। আজ সোমবার সেই ফলাফল জানা যাবে।

লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মদের পার্টি কেলেঙ্কারি, উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রচণ্ড চাপের মুখে থাকা বরিস জনসন গত ৭ জুলাই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য হন। তার পদত্যাগের পর শুরু হয় দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া।

রাকিব/এখন সময়